RCTV Logo আরসিটিভি ডেস্ক
১২ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৪০ পূর্বাহ্ন

আজ বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস বছরে ২৬ হাজার শিশু নিউমোনিয়ায় মারা যায়

ছবিঃ সংগৃহীত

বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস আজ বুধবার (১২ নভেম্বর)। নিউমোনিয়া প্রতিরোধ ও চিকিৎসা সংক্রান্ত সচেতনতা বাড়াতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নানা আয়োজনে পালন করা হচ্ছে দিবসটি। এ বছরের প্রতিপাদ্য– ‘সুস্থ সূচনা, আশার ভবিষ্যৎ’।

দিবসটি উপলক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।

জানা গেছে, ফুসফুসের প্রদাহজনিত ভয়ংকর একটি রোগ নিউমোনিয়া। বিশেষ করে শীতের সময় শিশু ও বয়স্কদের এ রোগের প্রকোপ বেশি বৃদ্ধি পায়। অপুষ্টি, বায়ুদূষণ, টিকা না নেওয়া ও অ্যান্টিবায়োটিকের অভাবে শিশুরা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে থাকে। এছাড়া অল্প বয়স্ক, স্বাস্থ্যবান এবং তরুণদেরও হতে পারে নিউমোনিয়া।

বিশেষজ্ঞ বলছেন, বিশ্বব্যাপী পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশুমৃত্যুর অন্যতম কারণ নিউমোনিয়া। এখনো প্রতিদিন ৭৩ শিশু নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করে। ফলে নিউমোনিয়ায় প্রতি বছর মৃত্যু হচ্ছে ২৬ হাজার ৭৬৬ শিশুর। শুধু বাংলাদেশে শিশু হাসপাতালেই নিউমোনিয়ার চিকিৎসা নিতে আসে ৮ হাজার শিশু। বিশ্বে প্রতি বছর প্রায় ৭ লাখ শিশু নিউমোনিয়ায় মারা যায়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী, শিশু চিকিৎসায় হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ১০টি মৌলিক সুবিধা থাকা উচিত। তবে বাংলাদেশ স্বাস্থ্য সুবিধা জরিপ ২০১৭ অনুযায়ী, দেশে মাত্র ৫ শতাংশ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এই সুবিধাগুলো রয়েছে। বাকি ৯৫ শতাংশ কেন্দ্রেই নেই প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম, ওষুধ বা প্রশিক্ষিত কর্মী।

আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) জানিয়েছে, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুর ৫২ শতাংশ মারা যাচ্ছে বাড়িতে, কোনো চিকিৎসা না পেয়ে। বাড়িতে চিকিৎসা নিয়েও মারা যাচ্ছে ৩ শতাংশ, আর হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা নিয়েও মারা যাচ্ছে ৪৫ শতাংশ শিশু। দেশে নিউমোনিয়ার সংক্রমণ কোন জীবাণুর মাধ্যমে হচ্ছে, তার ৫০ শতাংশ কারণ এখনও অজানা।

চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সমীর কুমার সাহা বলেন, সংক্রমণ ভাইরাসের মাধ্যমে, না ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে তা জানার উদ্যোগ নেই। নিউমোনিয়া প্রতিরোধে সংক্রমণের কারণ জানা জরুরি।

আইসিডিডিআর,বির জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী মোহাম্মদ জোবায়ের চিশতি বলেন, অপুষ্টিতে থাকা শিশুদের নিউমোনিয়ায় মৃত্যুর ঝুঁকি ১৫ গুণ।

তিনি আরও বলেন, প্রতিটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পালস অক্সিমিটার থাকা বাধ্যতামূলক করা উচিত।

বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. কামরুজ্জামান কামরুল জানান, শিশুদের জন্মের প্রথম ছয় মাস কেবল বুকের দুধ খাওয়ানো নিউমোনিয়া প্রতিরোধের বড় হাতিয়ার।

Facebook Comments Box

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আইসিসির মাসসেরা ক্রিকেটার হওয়ার দৌড়ে তাইজুল , সঙ্গে আরও যারা

ফরিদপুরে বাসচাপায় নারী-শিশুসহ নিহত ৪

খাবার না পেয়ে মারা গেল ৬০ হাজার পেঙ্গুইন

২০২৬ বিপিএলে কোন দলের অধিনায়ক কে, যা জানা গেল

লালমনিরহাটে অসহায় চার শিশুর দায়িত্ব নিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী শিহাব আহমেদ

চিরকুট লিখে চবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা পরিবারের দানে গড়ে উঠছে এতিম শিশু ও নারীর ক্ষমতায়ন কেন্দ্র 

আইএল টি–টোয়েন্টি খেলতে আমিরাতে যাচ্ছেন মোস্তাফিজ

শীতের তীব্রতায় কাপছে উত্তরের জনপথ

আজ আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস

১০

এভারকেয়ারে পৌঁছেছেন ডা. জুবাইদা রহমান

১১

গাইবান্ধায় জেলা এনসিপির কার্যালয়ে তালা

১২

বাজারে শীতের সবজির সরবরাহ বাড়লেও নাগালের বাইরে শীতের সবজি

১৩

বিশ্ব বাজারে আজ ২২ ক্যারেট স্বর্ণের ভরি কত?

১৪

কালীগঞ্জের মাঠ থেকে যুবকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার

১৫

আবারও অস্থির পেঁয়াজের বাজারবেড়েছে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে

১৬

লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত যুবকের মরদেহ হস্তান্তর

১৭

ফুটবল বিশ্বকাপের ড্র আজ : কখন কোথায় হবে, দেখবেন যেভাবে

১৮

বিমানবন্দর থেকে সরাসরি এভারকেয়ারে যাবেন ডা. জুবাইদা

১৯

খালেদা জিয়ার লন্ডন যাওয়া পেছাল, নতুন তারিখ নির্ধারণ

২০