বাংলাদেশে ইউএসএআইডির অর্থায়নে বাস্তবায়িত ২৯ মিলিয়ন ডলারের প্রকল্প ‘স্ট্রেংদেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ (এসপিএল) ইন বাংলাদেশ’ নিয়ে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কিছু মন্তব্য করেছেন, যা জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি পর্যালোচনা করে জানিয়েছে, ট্রাম্পের দাবি সত্য নয়।
🔹 ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে (২০১৭-২০২১) প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য ইউএসএআইডি (USAID) যুক্তরাষ্ট্রে নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল (DI)-কে নির্বাচিত করে।
🔹 দরপত্র আহ্বানের পর একাধিক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় এবং স্বচ্ছ ও প্রতিযোগিতামূলক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ইউএসএআইডি ডিআইকে প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেয়।
🔹 ২০১৭ সালের মার্চে প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় এবং ডিআই কাজ শুরু করে।
🔹 পরে প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয় এবং অর্থায়ন ধাপে ধাপে প্রদান করা হয়।
📌 শুরুর পরিকল্পনা: ৫ বছর মেয়াদি প্রকল্প, বাজেট ১৪ মিলিয়ন ডলার।
📌 প্রকল্পের তহবিল:
✔ রাজনৈতিক সহিংসতা হ্রাস করে শান্তি ও সম্প্রীতি বৃদ্ধি।
✔ রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান তৈরি।
✔ দলগুলোর দক্ষতা ও অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র চর্চা বৃদ্ধি।
✔ প্রতিনিধিত্বমূলক নেতৃত্বের বিকাশে উৎসাহ প্রদান।
✔ বাংলাদেশে জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা।
✅ ইউএসএআইডির প্রকল্পগুলোতে মার্কিন সরকারের কঠোর আর্থিক নীতিমালা অনুসরণ করা হয়।
✅ প্রতিটি প্রকল্পে নিয়মিত নিরীক্ষা (Audit) করা হয় এবং প্রকল্প শেষ হওয়ার পরও সংশ্লিষ্ট নথিপত্র সংরক্ষণ করা হয়।
✅ প্রয়োজনে পুনঃনিরীক্ষার (Re-Audit) ব্যবস্থাও রয়েছে।
🔹 পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুসন্ধানে কোনো ব্যক্তিগত সংস্থার মাধ্যমে প্রকল্পের অর্থায়নের তথ্য পাওয়া যায়নি।
🔹 ডিআই (Democracy International) যুক্তরাষ্ট্রে নিবন্ধিত একটি প্রতিষ্ঠান, যা স্বচ্ছ দরপত্র প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রকল্পের দায়িত্ব পেয়েছে।
🔹 প্রকল্পটি বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন সহযোগিতা চুক্তি (DOAG-Development Objective Assistance Agreement) অনুযায়ী বাস্তবায়িত হয়েছে।
🔹 ফলে কোনো ব্যক্তি বিশেষের এখতিয়ার ছিল না প্রকল্পের অর্থায়ন বা বাস্তবায়নের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, ট্রাম্পের দাবি বিভ্রান্তিকর এবং প্রকৃত তথ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
🔗 তথ্যসূত্র: বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন