যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএআইডি) কার্যকরভাবে বন্ধের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। এর ফলে বৈদেশিক সহায়তা নাটকীয়ভাবে হ্রাস পাবে, যা ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) টাইমস অব ইসরাইলের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আজ পররাষ্ট্র দপ্তর এবং ইউএসএআইডি কংগ্রেসকে পুনর্গঠনের তাদের অভিপ্রায় সম্পর্কে অবহিত করেছে। আগামী ১ জুলাইয়ের মধ্যে ইউএসএআইডির কিছু কার্যাবলী পররাষ্ট্র দপ্তরের সঙ্গে একীভূত করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, পররাষ্ট্র দপ্তর ‘প্রশাসনের অগ্রাধিকারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় এমন ইউএসএআইডির অবশিষ্ট কার্যাবলী বন্ধ করার’ পরিকল্পনাও করছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিওর মতে, ‘দুর্ভাগ্যবশত, ইউএসএআইডি অনেক আগেই তার মূল লক্ষ্য থেকে সরে গিয়েছিল। ফলে সংস্থাটি কার্যকরভাবে লাভজনক না হয়ে পড়ে, অথচ ব্যয় ছিল অত্যন্ত বেশি।’
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতায় আসার পর, ডোনাল্ড ট্রাম্প ৯০ দিনের জন্য মার্কিন বৈদেশিক সাহায্য স্থগিত করার একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন।
বন্ধ হওয়ার আগে সংস্থাটি প্রায় ৪৩ বিলিয়ন ডলারের বার্ষিক বাজেট পরিচালনা করত, যা বিশ্বের মানবিক সাহায্যের ৪০ শতাংশেরও বেশি ছিল। ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই সংস্থার বেশিরভাগ কর্মীকে প্রশাসনিক ছুটিতে পাঠানো হয়।
একাধিক মার্কিন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় নয় এমন সমস্ত চাকরি বরখাস্ত করার পরিকল্পনা সম্পর্কেও ইউএসএআইডির কর্মীদের শুক্রবার জানানো হয়েছিল।
সংস্থাটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান জেরেমি লুইন এক স্মারকলিপিতে উল্লেখ করেন, পররাষ্ট্র দপ্তর আগামী মাসগুলোতে ইউএসএআইডির বেশিরভাগ স্বাধীন কার্যক্রম বন্ধ করার পরিকল্পনা করছে।
মন্তব্য করুন