ঈদের দিনে তেল-ঘি ও মসলাযুক্ত খাবার বেশি পরিমাণে খাওয়া হয়। এছাড়া, গরমের কারণে কোল্ড ড্রিংকস বা ঠান্ডা পানীয়ও প্রচুর পরিমাণে গ্রহণ করা হয়। কিন্তু মাসব্যাপী রোজার পর হঠাৎ এই ধরনের খাবার পেটে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই কিছু হালকা ও আরামদায়ক খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
✅ লেবুর শরবত – হজমে সাহায্য করে, শরীর ঠান্ডা রাখে।
✅ বাসায় বানানো ফলের রস – প্রাকৃতিক ভিটামিন ও মিনারেলে সমৃদ্ধ।
✅ ডাবের পানি – হাইড্রেশন বজায় রাখে, পেটের সমস্যা কমায়।
✅ বোরহানি – হজমে সহায়ক, অতিরিক্ত মাংস খাওয়ার পর আরাম দেয়।
✅ ইসবগুলের ভুসি – কোষ্ঠকাঠিন্য ও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করে।
🔹 যাদের বয়স কম ও শারীরিক সমস্যা নেই, তারা সব ধরনের খাবার খেতে পারেন, তবে পরিমিত পরিমাণে।
🔹 বেশি মাংস খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে, যা অ্যানাল ফিসার ও পাইলস রোগীদের জন্য ক্ষতিকর।
🔹 আইবিএস (Irritable Bowel Syndrome) রোগীরা দুগ্ধজাত খাবার এড়িয়ে চলুন।
🔹 খাবারের মাঝে বেশি পানি পান করবেন না, এতে হজমের সমস্যা হতে পারে। খাবারের কমপক্ষে ১ ঘণ্টা পর পানি পান করা ভালো।
🔹 রাতে খাওয়ার অন্তত ২ ঘণ্টা পর ঘুমাতে যান, এতে পাকস্থলীতে চাপ কম পড়ে।
ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে হলে সুস্থ থাকা জরুরি। তাই পরিমিত খাবার খান, প্রচুর তরল পান করুন, অতিভোজন এড়িয়ে চলুন। তবেই ঈদের খাবার ও উৎসব দুটোই উপভোগ করতে পারবেন
মন্তব্য করুন