উন্নত চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাত ১০টা ৫৩ মিনিটে তিনি সেখানে পৌঁছান। এর আগে রাত ৮টা ১৪ মিনিটে গুলশানের বাসা থেকে ক্রিম রঙের একটি গাড়িতে করে তিনি রওনা দেন। বাসা থেকে বিমানবন্দরে পৌঁছাতে সময় লেগেছে আড়াই ঘণ্টারও বেশি।
বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর খালেদা জিয়া কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা করবেন। এই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি সোমবার ঢাকায় এসে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অবস্থান করছিল।
খালেদা জিয়ার বিদেশ সফরকে কেন্দ্র করে বিকেল থেকেই গুলশানের ফিরোজা বাসার আশপাশে ভিড় করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। বাসা থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত সড়কের পাশে অবস্থান নিয়ে তারা নেত্রীর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করেন। সন্ধ্যায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের শীর্ষ নেতারা গুলশানে গিয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং তার প্রতি শুভকামনা জানান।
ঢাকা থেকে প্রথমে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে যাবেন খালেদা জিয়া। তাকে লন্ডনের ‘লন্ডন ক্লিনিকে’ ভর্তি করা হবে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলবে বলে বিএনপি জানিয়েছে।
সাত বছর পর লন্ডনে বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা হবে খালেদা জিয়ার। লন্ডনে তারেক রহমান ছাড়াও পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান এবং নাতনি জায়মা জারনাজ রহমান তাকে স্বাগত জানাবেন। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এই সাক্ষাতে পরিবার, দল এবং দেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হতে পারে।
উল্লেখ্য, খালেদা জিয়া সর্বশেষ ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই লন্ডনে গিয়েছিলেন। এরপর আর কোনো বিদেশ সফরে তিনি যাননি। তার এই সফর রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত উভয় দিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
সবার প্রত্যাশা, এই সফরের মাধ্যমে তিনি উন্নত চিকিৎসা পাবেন এবং দ্রুত সুস্থ হয়ে দেশে ফিরে দলের নেতৃত্ব দেবেন।
মন্তব্য করুন