দক্ষিণী সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু অবশেষে প্রেমে পড়েছেন। অভিনেত্রীর অনুরাগীদের অনুমান, তিনি কাউকে মন দিয়েছেন। সামান্থার এক ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে এমন তথ্য।
এর আগে সামান্থা ভালোবেসে ঘর বেঁধেছিলেন অভিনেতা নাগা চৈতন্যের সঙ্গে। ২০১৭ সালের ৬ অক্টোবর ভারতের পর্যটন নগরী গোয়ার একটি রিসোর্টে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন এই তারকা জুটি। তবে ২০২১ সালে তাদের সংসার ভাঙার গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। শেষমেশ ২ অক্টোবর যৌথ বিবৃতির মাধ্যমে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন তারা।
বিচ্ছেদের পর চৈতন্য ও সামান্থার পথ দুদিকে বেঁকে যায়। চৈতন্যের সঙ্গে বিচ্ছেদের মূল কারণ হিসেবে উঠে আসে অভিনেত্রী শোভিতা ধূলিপালার সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা। পরবর্তীতে চৈতন্য ও শোভিতা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
এদিকে, দক্ষিণী পরিচালক রাজ নিদিমোরুর সঙ্গে সামান্থার সম্পর্ক নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। তবে এখনই বিয়ের পরিকল্পনা নেই; বরং তারা একত্রবাসের কথা ভাবছেন বলে জানা গেছে। এ নিয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেননি সামান্থা কিংবা রাজ।
বিবাহবিচ্ছেদের পর সামান্থা রুথ প্রভু বেশ বিষণ্ণ হয়ে পড়েছিলেন। তার অনুরাগীরা অপেক্ষায় ছিলেন, কবে আবার প্রেমে পড়বেন অভিনেত্রী? অবশেষে সেই অপেক্ষার অবসান ঘটেছে। সম্প্রতি সামান্থার শেয়ার করা একটি ছবি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।
একটি বিমানযাত্রার সময় রাজের কাঁধে মাথা রেখে তোলা ছবিটি দেখে অনেকেই তাদের সম্পর্কের বিষয়ে জল্পনা করছেন। সামান্থার ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, রাজ ও সামান্থা কিছুদিন একত্রে থাকার পরিকল্পনা করেছেন এবং এর জন্য বাড়িও খুঁজতে শুরু করেছেন।
উল্লেখ্য, সামান্থার আগে রাজ নিদিমোরু শ্যামলী দে নামে এক সহপরিচালকের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ ছিলেন। ২০১৫ সালে তাদের বিয়ে হয় এবং ২০২২ সালে বিচ্ছেদ ঘটে। শ্যামলী মনোবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করেছেন এবং বিশাল ভরদ্বাজ ও রাকেশ ওমপ্রকাশ মেহরার সঙ্গে সহপরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন। এছাড়া ‘ওমকারা’ ও ‘রং দে বসন্তী’ সিনেমায় সৃজনশীল উপদেষ্টা হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি।
জানা গেছে, ‘সিটাডেল হানি বানি’ প্রজেক্টে কাজ করতে গিয়েই সামান্থা ও রাজের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়।
মন্তব্য করুন