গাজা উপত্যকায় ব্যাপক সামরিক অভিযান শুরুর প্রস্তুতি হিসেবে ইসরায়েল লক্ষাধিক রিজার্ভ সেনা মোতায়েন করতে যাচ্ছে। দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানানো হয়েছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরে নিয়মিত বাহিনীর পরিবর্তে এই রিজার্ভ সেনাদের গাজা সীমান্তে পাঠানো হবে। যদিও ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো এ তথ্য নিশ্চিত করেনি।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সম্প্রতি যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতাকারী কাতারের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, কাতার হামাসকে অর্থায়ন ও সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। এদিকে, রোববার ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা গাজায় সামরিক অভিযান সম্প্রসারণের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করবে বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার সংস্থা।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত সাত মাসে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৫২ হাজার ৪৯৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ১৮ হাজার ৩৬৬ জন আহত হয়েছে। তবে গাজার মিডিয়া অফিস দাবি করেছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া হাজারো নিখোঁজ ব্যক্তিকে হিসাবে নিলে মৃতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে যেতে পারে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত হয় এবং ২০০ জনের বেশি ব্যক্তিকে জিম্মি করা হয়। এরপর থেকেই ইসরায়েল গাজার ওপর ব্যাপক সামরিক অভিযান ও অবরোধ চালিয়ে যাচ্ছে।
ইসরায়েলের এই সামরিক প্রস্তুতি আন্তর্জাতিক মহলে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো গাজায় চলমান সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানালেও ইসরায়েলি নেতৃত্ব যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার বৈঠকের সিদ্ধান্তই নির্ধারণ করবে, গাজায় ভবিষ্যৎ সামরিক কৌশল কী হবে। তবে লক্ষাধিক রিজার্ভ সেনা মোতায়েনের প্রস্তুতি ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, ইসরায়েল গাজায় আরও ব্যাপক ও দীর্ঘমেয়াদি অভিযানের পরিকল্পনা করছে।
মন্তব্য করুন