দক্ষিণ এশিয়ার দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা আরও তীব্র হলো। কাশ্মিরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলাকে কেন্দ্র করে পাল্টাপাল্টি বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে দুই দেশ। শনিবার (৩ মে) পাকিস্তান সরকার ভারত থেকে সব ধরনের পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে।
গত সপ্তাহে কাশ্মিরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এই ঘটনার পর ভারত জাতীয় নিরাপত্তা ও জনস্বার্থের কথা বিবেচনায় নিয়ে পাকিস্তানি পণ্যের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করে। এর জবাবেই পাকিস্তান এখন ভারতীয় পণ্য আমদানি সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিল। ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে একমাত্র সক্রিয় স্থল বাণিজ্যপথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলার পর ভারত পাকিস্তানি পণ্যের ওপর ২০০% শুল্ক বসিয়ে আমদানি প্রায় শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে পাকিস্তান থেকে ভারতের আমদানি ছিল মোট আমদানির ০.০০০১% এরও কম। উভয় দেশই বলেছে, বিশেষ প্রয়োজনে সরকারি অনুমোদন সাপেক্ষে কিছু পণ্য আমদানি-রপ্তানি হতে পারে। এই নিষেধাজ্ঞা দুই দেশের মধ্যকার অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরও শীতল করে তুলতে পারে। বিশেষজ্ঞরা নে করছেন, কাশ্মির ইস্যু ও সীমান্ত উত্তেজনা বাড়লে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।
এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো বড় আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতা বা হস্তক্ষেপ দেখা যায়নি। তবে, দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতা নিয়ে বিশ্ব সম্প্রদায়ের উদ্বেগ বাড়তে পারে। ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে বাণিজ্য ইতিমধ্যেই সীমিত ছিল। এবারের নিষেধাজ্ঞা দুই দেশের সাধারণ মানুষের ওপর কী প্রভাব ফেলবে, সেটিই এখন দেখার বিষয়। উত্তেজনা কমানোর জন্য কূটনৈতিক আলোচনার আহ্বান জানিয়েছে অনেকেই, কিন্তু অদূর ভবিষ্যতে সমাধানের কোনো ইঙ্গিত এখনো দেখা যাচ্ছে না।
মন্তব্য করুন