স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও জলবায়ুর মতো গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক খাতগুলোতে বাজেট কমিয়ে প্রতিরক্ষা ও জাতীয় নিরাপত্তায় বরাদ্দ বাড়াতে চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর এটি তাঁর প্রথম বাজেট প্রস্তাব। বিষয়টি প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত শুক্রবার হোয়াইট হাউস থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করা হয়, যাকে ‘স্কিনি বাজেট’ বলা হচ্ছে। এতে প্রতিরক্ষা বহির্ভূত খাতে প্রায় ১৬৩ বিলিয়ন ডলার ব্যয় কমানোর পরিকল্পনা রয়েছে। কাটছাঁটের আওতায় আসবে:
শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা
জলবায়ু ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি
সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (CDC)
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ (NIH)
এমনকি FBI, DEA ও ATF-এর মতো নিরাপত্তা সংস্থাও
অন্যদিকে, পেন্টাগনের বাজেট ১৩ শতাংশ বাড়িয়ে এক লাখ কোটি ডলার ছাড়িয়ে নেওয়ার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সম্পৃক্ততা অব্যাহত রাখার ইঙ্গিত দিচ্ছে এ পদক্ষেপ।
এছাড়া, ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটির বাজেট ৬৫ শতাংশ বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে, যা ট্রাম্পের কড়াকড়ি অভিবাসন নীতির অংশ বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
ট্রাম্প প্রশাসনের বাজেট পরিচালক রুসেল ভট বলেন, “নতুন বাজেটের মূল লক্ষ্য হচ্ছে অপচয় কমানো ও আমলাতন্ত্রের ব্যয় হ্রাস। আমেরিকানদের অগ্রাধিকার দিয়ে ঐতিহাসিক একটি বাজেট তৈরি করাই আমাদের উদ্দেশ্য।”
বাজেট প্রস্তাবনায় আরও বলা হয়েছে, মোট ২২.৬ শতাংশ ব্যয় হ্রাস করা হবে। তবে চলতি অর্থবছরের বাজেট শেষ হবে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর, তার পরেই ট্রাম্প প্রশাসন এই বাজেট কার্যকর করতে পারবে।
মন্তব্য করুন