আজ চৈত্রসংক্রান্তি—বাংলা বছরের শেষ দিন। ১৪৩১ সনের বিদায় ও ১৪৩২ সনের আগমনী বার্তা নিয়ে সারাদেশে নানা আয়োজনে মুখরিত হয়েছে চৈত্রসংক্রান্তির উৎসব। বাংলার ঐতিহ্যবাহী এই দিনটি পালিত হচ্ছে লোকজ সংস্কৃতি, মেলা, পিঠা-পুলির আয়োজন ও বিভিন্ন ধর্মীয় রীতির মধ্য দিয়ে।
চৈত্রসংক্রান্তি সূর্যের রাশি পরিবর্তনের দিন হিসেবে বিবেচিত হয়। এদিন সূর্য মীন রাশি থেকে মেষ রাশিতে প্রবেশ করে। হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে এটি একটি পুণ্য দিন, যেখানে স্নান, দান ও পূজার্চনার মাধ্যমে নতুন বছরের শুভ সূচনা কামনা করা হয়।
মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান: দেশের বিভিন্ন স্থানে বসেছে চৈত্রসংক্রান্তি মেলা। ঢাকার রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, চট্টগ্রামের লালদীঘি ও রাজশাহীর পদ্মাপাড়ে লোকজ সংগীত, কবিগান, যাত্রাপালা ও নাচের আসর বসেছে।
পিঠা-পুলির আয়োজন: গ্রামীণ সংস্কৃতিতে আজ বাড়িতে বাড়িতে তৈরি হচ্ছে নানা রকমের পিঠা, মুড়ি-মুড়কি ও মিষ্টান্ন।
নদীস্নান ও ধর্মীয় রীতি: হিন্দু সম্প্রদায় সকালে নদী বা পবিত্র জলাশয়ে স্নান করে নতুন বছরের মঙ্গল কামনা করছেন। অনেক স্থানে চড়ক পূজা ও গাজনের আয়োজনও দেখা যাচ্ছে।
চৈত্রসংক্রান্তির মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষের উৎসবের সূচনা হয়। আগামীকাল পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে প্রস্তুত রাজধানীসহ সারাদেশ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, রমনা বটমূলে ছায়ানটের মঙ্গলদূত কন্ঠস্বর ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের আয়োজনে মুখরিত হবে দিনটি।
নববর্ষের উৎসবকে শান্তিপূর্ণ করতে পুলিশ, র্যাব ও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে। মুখোশ পরে শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন