যুক্তরাষ্ট্রকে ‘অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন’ করতে বিশ্বব্যাপী শুল্ক আরোপের যে পদক্ষেপ নিয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তার প্রভাব পড়েছে সরাসরি মার্কিন বিলিয়নিয়ারদের পকেটে। ভারতের টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, এই শুল্ক নীতির ঘোষণার পর ধনকুবেরদের মোট সম্পদ থেকে উবে গেছে প্রায় ২০৮ বিলিয়ন ডলার—করোনা মহামারির পর এত বড় আর্থিক ধাক্কা আর দেখা যায়নি।
এনডিটিভি-র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের শীর্ষ ৫০০ ধনকুবের এই ধসের শিকার হয়েছেন, যার মধ্যে মার্কিন বিলিয়নিয়ারদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছেন মার্ক জাকারবার্গ, যার মোট সম্পদ থেকে কমেছে ১৭.৯ বিলিয়ন ডলার, যা তার সম্পদের প্রায় ৯ শতাংশ।
ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ারস ইনডেক্স-এর ১৩ বছরের ইতিহাসে এটি চতুর্থ বৃহত্তম একদিনের সম্পদ হ্রাস।
ট্রাম্পের শুল্ক ঘোষণার পর অ্যামাজনের শেয়ার ৯ শতাংশ পড়ে যায়, এতে জেফ বেজোসের ক্ষতি হয় ১৫.৯ বিলিয়ন ডলার।
টেসলার শেয়ার পতনের কারণে ইলন মাস্ক হারিয়েছেন ১১ বিলিয়ন ডলার—যা ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ এই শিল্পপতির জন্য বড় এক ধাক্কা।
মাইকেল ডেল – ৯.৫৩ বিলিয়ন ডলার
ল্যারি এলিসন – ৮.১ বিলিয়ন ডলার
জেনসেন হুয়াং – ৭.৩৬ বিলিয়ন ডলার
ল্যারি পেজ – ৪.৭৯ বিলিয়ন ডলার
সের্গেই ব্রিন – ৪.৪৬ বিলিয়ন ডলার
থমাস পিটারফি – ৪.০৬ বিলিয়ন ডলার
বার্নার্ড আর্নল্ট (ফ্রান্স) – যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে একমাত্র উল্লেখযোগ্য ক্ষতিগ্রস্ত, যার সম্পদেও বড় ধরনের পতন ঘটেছে।
বিশ্বের অনেক দেশ ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তকে একটি ‘বাণিজ্য যুদ্ধের সূচনা’ হিসেবে দেখছে। অর্থনীতিবিদরা সতর্ক করছেন, এ ধরনের যুদ্ধ দীর্ঘমেয়াদে কারও জন্যই লাভজনক নয়।
তবে ট্রাম্প এই দিনটিকে ঘোষণা করেছেন ‘অর্থনৈতিক স্বাধীনতা দিবস’ হিসেবে। তার ভাষায়,
“আমরা একটি স্বাধীন ও সুন্দর জাতি হতে যাচ্ছি। এই দিনটিকে ভবিষ্যতে আপনারা স্মরণ করবেন এবং বলবেন—তিনি (ট্রাম্প) সঠিক ছিলেন।”
মন্তব্য করুন