ভূপৃষ্ঠের প্রায় ৩,০০০ কিলোমিটার গভীরে বিজ্ঞানীরা খুঁজে পেয়েছেন এভারেস্টের চেয়েও ১০০ গুণ উঁচু দুটি বিশাল পর্বত। আফ্রিকা ও প্রশান্ত মহাসাগরের নিচে, পৃথিবীর কেন্দ্র ও ম্যান্টলের সংযোগস্থলে অবস্থিত এই পর্বতগুলো প্রায় ১,০০০ কিলোমিটার উচ্চতা বিশিষ্ট। সম্প্রতি, বিজ্ঞান সাময়িকী ‘নেচার’-এ প্রকাশিত গবেষণায় এই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।
🔍 বিজ্ঞানীদের অনুমান, এই পর্বতগুলো অন্তত ৫০ কোটি বছর পুরোনো।
🔍 সম্ভবত, ৪ বিলিয়ন (৪০০ কোটি) বছর আগে, পৃথিবী গঠনের সময় থেকেই এগুলো বিদ্যমান।
গবেষক দলের প্রধান ডাচ ভূকম্পন বিশেষজ্ঞ ড. আরওয়েন ডিউস বলেন—
“এই পর্বতগুলো কীভাবে তৈরি হয়েছে, তা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে কোটি কোটি বছর ধরে এগুলো একই জায়গায় রয়েছে।”
🔬 ভূমিকম্পের সময় সৃষ্ট কম্পন তরঙ্গ বিশ্লেষণ করেই বিজ্ঞানীরা এই পর্বতগুলোর অস্তিত্ব শনাক্ত করেন।
🌀 কী দেখা গেছে?
✅ এই অঞ্চলে ভূকম্পন তরঙ্গের গতি হঠাৎ ধীর হয়ে যায়, যা ইঙ্গিত দেয় সেখানে কঠিন কোনো বিশাল গঠন রয়েছে।
✅ সাবডাকশন প্রক্রিয়ায় এক টেকটোনিক প্লেট অন্য প্লেটের নিচে সরে গিয়ে ৩,০০০ কিলোমিটার গভীরে জমা হয়েছে।
✅ এটি পরিণত হয়েছে ‘টেকটোনিক সমাধিক্ষেত্র’-এ, যেখানে এই বিশাল পর্বতগুলো অবস্থান করছে।
ড. ডিউস ব্যাখ্যা করেন—
“আমরা দেখেছি, এই অঞ্চল আশপাশের তুলনায় অনেক বেশি উষ্ণ। তবে আশ্চর্যজনকভাবে, এখানে ভূকম্পন তরঙ্গের শক্তি খুব কম নিঃশেষিত হয়।”
🔹 গবেষক সুজানিয়া তালাভেরা-সোজা জানান,
“এই পর্বতগুলোর খনিজ দানা অনেক বড়, যা ভূকম্পন তরঙ্গ শোষণে কম সক্ষম।”
📌 এর অর্থ পর্বতগুলো আশপাশের অঞ্চলগুলোর তুলনায় অনেক পুরোনো এবং এটি পৃথিবীর গভীর ইতিহাস উন্মোচনে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
💡 বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, এই পর্বতগুলোর গঠন ও বয়স সম্পর্কে আরও গবেষণা করলে—
✅ পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ গঠন সম্পর্কে নতুন তথ্য পাওয়া যাবে।
✅ ভূতাত্ত্বিক পরিবর্তন ও টেকটোনিক প্লেটগুলোর গতিবিধি আরও ভালোভাবে বোঝা যাবে।
📢 এই আবিষ্কার শুধু ভূতাত্ত্বিক গবেষণার জন্য নয়, বরং মহাকাশ ও গ্রহবিদ্যাতেও নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে।
আপনার কী মনে হয়? পৃথিবীর অভ্যন্তরে আরও কি অজানা বিস্ময় লুকিয়ে থাকতে পারে? 🤔
🔗 সূত্র: নেচার, এনডিটিভি, বিবিসি, রয়টার্স
মন্তব্য করুন