রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত। একই সঙ্গে তিনি মনে করেন, ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করাও ইতিবাচক হবে।
দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সম্প্রতি ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, তিনি ক্ষমতায় ফিরে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ না হলে রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবেন। এর পরই পুতিন এই মন্তব্য করেন।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের এক সাক্ষাৎকারে পুতিন বলেন, “আমরা সবসময় আলোচনার জন্য উন্মুক্ত। বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কাজ করতে আমরা প্রস্তুত এবং আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খোঁজাই হবে সঠিক পথ।”
তিনি আরও বলেন, “আজকের বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে, শান্তিপূর্ণ আলোচনা আমাদের জন্য মঙ্গলজনক হবে।”
পুতিন ট্রাম্পের সঙ্গে তার সম্পর্ককে “ব্যবসায়িক, বাস্তববাদী এবং বিশ্বাসযোগ্য” বলে উল্লেখ করেছেন।
তিনি ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনার জটিলতা সম্পর্কে বলেন, “ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আলোচনায় বসতে অস্বীকৃতি জানিয়ে একটি ডিক্রি স্বাক্ষর করেছেন, যা সমস্যাকে আরও জটিল করে তুলেছে।”
পুতিনের মতে, “যদি ট্রাম্প ক্ষমতায় থাকতেন, তবে ২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধের সূচনা রোধ করা সম্ভব হতো।”
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি যুদ্ধ সমাপ্তির লক্ষ্যে চুক্তির জন্য প্রস্তুত রয়েছেন।
ট্রাম্প আরও উল্লেখ করেন, “রাশিয়া হয়তো একটি চুক্তিতে আসতে চাইবে। আমি পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারি এবং আলোচনা চালিয়ে যেতে রাজি আছি।”
মন্তব্য করুন