আজ বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বুদ্ধপূর্ণিমা। গৌতম বুদ্ধের জন্ম, বোধিলাভ ও মহাপরিনির্বাণ—এই ত্রিস্মৃতি বিজড়িত দিনটি বিশ্বজুড়ে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে পবিত্রতম দিন হিসেবে পালিত হয়।
প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে এই বৈশাখী পূর্ণিমার দিনে মহামতি গৌতম বুদ্ধ পৃথিবীতে আবির্ভূত হন। তাঁর শিক্ষার মূল কথা হলো অহিংসা, সাম্য, মৈত্রী ও মানবতার বন্ধন। বুদ্ধের বাণী, “বৈরিতা দিয়ে বৈরিতা, হিংসা দিয়ে হিংসা প্রশমিত হয় না; অহিংসা ও প্রেমই শান্তির পথ”— আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক।
দেশজুড়ে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা আজ বুদ্ধপূজা, শীল গ্রহণ, পিন্ডদান, প্রদীপ প্রজ্বালন ও শান্তি শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপন করবেন। সরকারি ছুটির এই দিনে বিভিন্ন বৌদ্ধবিহারে ধর্মীয় আলোচনা, সমবেত প্রার্থনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস এক বাণীতে দেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায়কে শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, “বিশ্ব আজ সংঘাত ও বিভেদের যে অন্ধকারে ঢাকা, তার মধ্যে বুদ্ধের শিক্ষা শান্তি ও সম্প্রীতির আলোকবর্তিকা হয়ে দেখা দিয়েছে। এই পবিত্র দিনে মানবতা জয়ী হোক, সকল বিভেদ মুছে যাক—এটাই হোক আমাদের প্রার্থনা।”
বুদ্ধপূর্ণিমা বাংলাদেশ ছাড়াও শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, নেপাল, ভুটানসহ বিভিন্ন দেশে শ্রদ্ধা ও উৎসাহের সঙ্গে পালিত হচ্ছে। ইউনেস্কো এই দিনটিকে বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের দিন হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
দিনটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা ও বিরোধীদলীয় নেতাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন বৌদ্ধ সম্প্রদায়কে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সকলের কামনা, বুদ্ধের অহিংসার দর্শন সমাজে শান্তি ও সম্প্রীতির বীজ বপন করুক।
মন্তব্য করুন