বর্তমানে বাজারে সহজলভ্য টাটকা গাজর। পুষ্টিগুণে ভরপুর এই সবজিতে রয়েছে ভিটামিন ‘এ’, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ফোলেট, ভিটামিন ‘সি’ এবং ফাইবার। গাজর কাঁচা খাওয়া যায়, আবার স্যুপ, তরকারি বা ভাপে সিদ্ধ করেও খাওয়া যায়। তবে প্রশ্ন হলো, কাঁচা নাকি সিদ্ধ গাজর—কোনটি বেশি উপকারী?
কাঁচা গাজর খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। এতে থাকা প্রচুর ফাইবার অন্ত্রের কার্যক্রমকে সক্রিয় রাখে এবং হজমে সহায়তা করে। এছাড়া কাঁচা গাজরে থাকা ভিটামিন ‘এ’ চোখের জন্য বিশেষ উপকারী। ভিটামিন ‘সি’ এবং ফোলেটও এতে বিদ্যমান।
তবে কাঁচা গাজর খাওয়ার আগে অবশ্যই ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। নাহলে কৃমি বা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হতে পারে। বিশেষ করে বর্ষাকালে এ বিষয়ে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।
সিদ্ধ বা ভাপানো গাজরেরও অনেক উপকারিতা রয়েছে। বিশেষত শিশু ও বয়স্কদের জন্য এটি সহজপাচ্য। গাজর সিদ্ধ করলে বিটা ক্যারোটিন সহজেই ভিটামিন ‘এ’-তে রূপান্তরিত হয়, যা চোখের দৃষ্টিশক্তি রক্ষা করে।
তবে উচ্চ তাপমাত্রায় বেশি তেল-মসলা দিয়ে গাজর রান্না করলে পুষ্টিগুণ কমে যেতে পারে। তাই কম আঁচে বা ভাপে সিদ্ধ করে খাওয়া উত্তম।
গাজরে শর্করার মাত্রা কম। ফলে এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও নিরাপদ। সিদ্ধ গাজরের শর্করার মাত্রা আরও কমে যায়। তাই ডায়াবেটিস রোগীরা এটি অনায়াসে খেতে পারেন।
কাঁচা গাজর সালাদ হিসেবে খাওয়া যায়।
স্যুপ বা তরকারিতে মিশিয়ে খেতে পারেন।
শিশুরা ও বয়স্করা ভাপে সিদ্ধ গাজর খেতে পারেন।
কম তেল ও মসলা দিয়ে রান্না করলে পুষ্টিগুণ অটুট থাকে।
গাজর ধুয়ে পরিষ্কার করে খেতে হবে।
বর্ষাকালে কাঁচা গাজর খাওয়ার ক্ষেত্রে সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি।
অতিরিক্ত তেল ও মসলা এড়িয়ে চলা উচিত।
মন্তব্য করুন