জম্মু-কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা (LoC) বরাবর ভারত ও পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর মধ্যে টানা ছয় রাত ধরে গোলাগুলি চলছে। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাতেও উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে, যদিও এতে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীরের পারগওয়াল সেক্টরে পাকিস্তানি সেনারা ভারী অস্ত্র দিয়ে গুলিবর্ষণ করেছে বলে ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী জানায়, তারা প্রতিটি আক্রমণের “কার্যকর জবাব” দিয়েছে।
ভারতের দাবি সত্ত্বেও পাকিস্তানের সরকার বা সেনাবাহিনী এখনও এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি। পাকিস্তানি গণমাধ্যমেও এই ঘটনা নিয়ে বিস্তারিত কোনো খবর প্রকাশিত হয়নি।
এই গোলাগুলির ঘটনা এমন এক সময়ে ঘটছে, যখন গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হয়। ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর এটি কাশ্মীরে সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী হামলা। এই হামলার পর থেকে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমাগত বাড়ছে।
এই হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ভারত সিন্ধু নদীর পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করেছে। জবাবে পাকিস্তান সিমলা চুক্তি স্থগিত করে এবং ভারতীয় বিমানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ ঘোষণা করে। এছাড়া, উভয় দেশই একে অপরের নাগরিকদের জন্য ভিসা বাতিল করে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে।
এই সংঘাতের প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগ বাড়ছে। দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়লে পুরো দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়তে পারে।
বর্তমানে পরিস্থিতি অত্যন্ত সংবেদনশীল, এবং যেকোনো অপ্রত্যাশিত ঘটনা বড় ধরনের সংঘাতের সূত্রপাত করতে পারে।
মন্তব্য করুন