সিরিয়ায় মোতায়েন থাকা মার্কিন সেনাদের সংখ্যা আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই অর্ধেকে নামিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সদর দফতর পেন্টাগন। শনিবার (১৯ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
বর্তমানে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ছড়িয়ে থাকা বেশ কয়েকটি সামরিক ঘাঁটিতে প্রায় ২,০০০ মার্কিন সেনা অবস্থান করছে। তারা কুর্দি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (এসডিএফ)-এর সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে, যার মূল উদ্দেশ্য—ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর পুনরুত্থান ঠেকানো।
পেন্টাগনের মুখপাত্র শন পার্নেল এক বিবৃতিতে জানান, আগামী মাসগুলোতে সিরিয়ায় মার্কিন সেনা সংখ্যা কমিয়ে এক হাজারে আনা হবে। তিনি বলেন, “আইএসআইএস বিরোধী অভিযান অব্যাহত রাখতে মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড সব সময় প্রস্তুত থাকবে।”
এদিকে, মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক শক্তি পুনরায় জোরদার করতে সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে বি-২ বোমারু বিমান, যুদ্ধজাহাজ এবং বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ইতোমধ্যে মোতায়েন করা হয়েছে।
ট্রাম্প আরও অভিযোগ করেছেন, ইরান ইচ্ছাকৃতভাবে পারমাণবিক আলোচনা বিলম্বিত করছে এবং তারা ‘প্রায় পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।’ তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “ইরানকে অবশ্যই পারমাণবিক অস্ত্রের স্বপ্ন ছাড়তে হবে। তাদের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র থাকতে পারে না।”
তেহরানের পারমাণবিক স্থাপনায় সামরিক হামলার সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ট্রাম্প বলেন, “অবশ্যই তা বিবেচনায় আছে।”
প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বরে বাশার আল-আসাদকে সরিয়ে সিরিয়ায় একটি ইসলামপন্থি সরকার ক্ষমতায় আসে। তারা দেশে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে এবং আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনর্গঠনে কাজ করছে।
মন্তব্য করুন