রংপুর নগরীর দখিগন্জ শশ্মান বধ্যভুমি দিবস স্মরণে শহীদ স্মৃতিস্তমে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়েছে।
শুক্রবার (৪ এপ্রিল) বিকেল ৪ টায় দখিগঞ্জ শশ্মান বধ্যভূমি স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের আয়োজনে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের পরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
দখিগঞ্জ শশ্মান বধ্যভূমি স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের আহবায়ক সাংবাদিক সুশান্ত ভৌমিক সুবলের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব এডভোকেট পলাশ কান্তি নাগ এর সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা রামকৃষ্ণ সোমানী,বীর মুক্তিযোদ্ধা নীপেন্দ্র নাথ রায়, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ডাঃ মাফিজুল ইসলাম মান্টু,আমজাদ হোসেন সরকার, এডভোকেট মাসুম হাসান, সাংবাদিক বাবলু নাগ,শিক্ষক শাফিয়ার রহমান,রাজনীতিবিদ আব্দুল জব্বার, মসিউর রহমান,দেবদাস ঘোষ দেবু,অমল কুমার সরকা, সমাজকর্মী সুব্রত সরকার মুকুল, মাহফুজ আলম, চিত্রশিল্পী আহসান আহমেদ প্রমুখ।
সভায় দেশের বিভিন্ন স্থানে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য ও স্মৃতিস্তভে হামলা ভাংচুরের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানানো হয়। সেইসাথে দখিগঞ্জ শশ্মান বধ্যভূমিসহ সকল বধ্যভূমি ও স্মৃতিস্তম্ভ-ভাস্কর্য রক্ষায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ দাবি করেন।
এসময় বক্তব্যে নেতৃবৃন্দ বলেন, একটি শোষণ-বৈষম্যহীন ও অসাম্প্রদায়িক সমাজের আকাঙ্খায় মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিলো। স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও মুক্তিযুদ্ধের সেই আকাঙ্খার বাস্তবায়ন ঘটেনি। তাই এদেশের মানুষ বৈষম্যহীন সমতার সমাজ বিনির্মানের আকাঙ্খায় গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে স্বৈরশাসকের পতন ঘটিয়েছে। জুলাই অভ্যুত্থানের পর বিদ্যমান আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনার সাথে সাংঘর্ষিক। যা কোনো দেশপ্রেমিক বিবেকবান মানুষ মেনে নিতে পারে না। এ অবস্থায় সকলকে শোষণ, বৈষম্যহীন এবং অসাম্প্রদায়িক সমাজ বিনির্মানে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানানো হয়।
আলোচনা শেষে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ৩ এপ্রিল দিবাগত রাতে এই স্থানটিতে পাক হানাদার বাহিনীর গুলিতে শহীদ হন- ওয়াই এ মাহফুজ আলী জররেজ,ক্ষীতিশ হালদার,এহসানুল হক দুলাল,রফিকুল ইসলাম রফিক,শান্তি চাকী,দুর্গাদাস অধিকারী,গোপাল চন্দ্র,তোফাজ্জল হোসেন মহরম,উত্তম কুমার অধিকারী গোপাল,পাগলা দরবেশ। ওই দিন ঘটনাক্রমে বেঁচে যান ডাঃ দীনেশ ভৌমিক মন্টু।
সকল বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের উদ্দেশ্য প্রতিবছর দিবসটি পালন করা হয়।
মন্তব্য করুন