শীত বিদায় নিয়েছে, ধীরে ধীরে বাড়ছে গরমের তাপমাত্রা। এর সঙ্গে শুরু হয়েছে গরমকালীন কিছু পরিচিত সমস্যা। অনেকে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি ঘামেন, যা বাইরে বের হলে অস্বস্তি, গায়ে দুর্গন্ধ ও বিভিন্ন সামাজিক সমস্যার কারণ হতে পারে।
কিন্তু কেন এমন হয়? অতিরিক্ত ঘাম কি কোনো গুরুতর রোগের ইঙ্গিত? এই সমস্যার প্রতিকার কী? ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের সঙ্গে আইএলএস হাসপাতালের কনসালট্যান্ট ফিজিশিয়ান ডা. সর্বজিৎ রায় (জেনারেল মেডিসিন) এসব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন।
চিকিৎসকদের মতে, অতিরিক্ত ঘাম (Hyperhidrosis) দুই প্রকার হতে পারে—
1️⃣ প্রাইমারি হাইপারহাইড্রোসিস:
2️⃣ সেকেন্ডারি হাইপারহাইড্রোসিস:
ডা. সর্বজিৎ রায় বলেন, “হঠাৎ করে রক্তে সুগার কমে গেলে (Hypoglycemia) প্রচণ্ড ঘাম হতে পারে। এছাড়া, থাইরয়েডের সমস্যাও অতিরিক্ত ঘামের অন্যতম কারণ। অনেক ওষুধ, যেমন প্যারাসিটামল, গ্রহণ করলে শরীরের তাপমাত্রা কমানোর জন্য ঘাম হয়।”
✔ অনেকেই পাবলিক প্লেসে অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হন।
✔ গায়ের দুর্গন্ধের কারণে সামাজিক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।
✔ অতিরিক্ত ঘাম কাজের দক্ষতা বা আত্মবিশ্বাসেও প্রভাব ফেলতে পারে।
তবে চিকিৎসকরা বলছেন, জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন আনলে এই সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
✅ পানি ও ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য ঠিক রাখুন
✅ বেশিবার স্নান করুন
✅ ট্যালকম পাউডার বা অ্যান্টিপারস্পির্যান্ট ব্যবহার করুন
✅ পোশাকের ক্ষেত্রে সচেতনতা
✅ সুগার ও থাইরয়েডের মাত্রা পর্যবেক্ষণ করুন
✅ অতিরিক্ত ক্যাফেইন ও মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন
চিকিৎসক ডা. সর্বজিৎ রায় বলেন, “বর্তমানে আধুনিক চিকিৎসার মাধ্যমে অতিরিক্ত ঘাম নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। তবে এটি নির্দিষ্ট কিছু রোগীর জন্য প্রযোজ্য।”
✔ অ্যান্টিপারস্পির্যান্ট ওষুধ
✔ বোটক্স থেরাপি (Botox Injection) – যা ঘাম নির্গত হওয়া বন্ধ করে
✔ আয়নটোফোরেসিস (Iontophoresis) – হাত ও পায়ের ঘাম কমানোর জন্য
✔ সার্জারি (ETS – Endoscopic Thoracic Sympathectomy) – এটি চূড়ান্ত বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা হয়
তবে, শারীরিক কোনো রোগ না থাকলে (প্রাইমারি হাইপারহাইড্রোসিস) জীবনযাপনের পরিবর্তনই সেরা সমাধান।
মন্তব্য করুন