RCTV Logo আন্তর্জাতিক ডেস্ক
৯ মে ২০২৫, ৫:৪৬ অপরাহ্ন

মিডল ইস্ট আইয়ের বিশেষ প্রতিবেদন,গাজায় ত্রাণ পৌঁছাতে প্রতি বিমানে জর্ডানের আয় ৪ লাখ ডলার

ইসরাইলের চলমান আগ্রাসনে অবরুদ্ধ গাজায় আন্তর্জাতিক সাহায্য পৌঁছানোর প্রক্রিয়ায় জর্ডান বিপুল অর্থ উপার্জন করেছে বলে অভিযোগ করেছে মিডল ইস্ট আই (এমইই)। সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, জর্ডানের সরকারি দাতব্য সংস্থা জর্ডান হাশেমাইট চ্যারিটি অর্গানাইজেশন (জেএইচসিও) ইসরাইলি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে গাজায় ত্রাণ পাঠানোর একমাত্র অনুমোদিত মাধ্যম হিসেবে কাজ করছে।


জেএইচসিও-র কার্যক্রমের সঙ্গে সরাসরি সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোর বরাতে এমইই জানায়, ত্রাণ কার্যক্রমের জন্য বিপুল অর্থ সংগ্রহ করছে জর্ডান। গাজায় প্রবেশ করা প্রতিটি ত্রাণবাহী ট্রাকের জন্য জর্ডান প্রায় ২,২০০ ডলার ফি আদায় করছে। এই ফি সরাসরি জর্ডানের সশস্ত্র বাহিনীর কাছে জমা দিতে হয়।

এছাড়া, গাজায় ত্রাণ ফেলার প্রতিটি বিমানের জন্য জর্ডান ২ থেকে ৪ লাখ ডলার পর্যন্ত চার্জ করছে, যেখানে প্রতিটি বিমানে থাকা ত্রাণের পরিমাণ একটি ট্রাকের অর্ধেকেরও কম।


এমইই-র প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ত্রাণ কার্যক্রম থেকে বাড়তি আয়ের ফলে জর্ডান তাদের লজিস্টিক অবকাঠামো সম্প্রসারণ করছে। ইতোমধ্যেই বিদেশি অনুদানে ২০০টি নতুন ট্রাক কেনা হয়েছে এবং জাতিসংঘের সহায়তায় একটি বৃহৎ গুদাম নির্মাণ করা হচ্ছে।


এ বিষয়ে জর্ডানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী এবং জেএইচসিও তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি।২০২৩ সালের অক্টোবরে যুদ্ধ শুরুর পরপরই জর্ডানে হামাস ও গাজার পক্ষে বিক্ষোভ শুরু হয়। এই চাপের প্রেক্ষিতে যুদ্ধ শুরুর এক মাস পর জর্ডান সামরিক বাহিনীর মাধ্যমে বিমান থেকে ত্রাণ ফেলার কার্যক্রম শুরু করে। এখন পর্যন্ত দেশটি প্রায় ৪০০টি এয়ারড্রপ পরিচালনা করেছে, যার অনেকগুলো অন্যান্য দেশের সহায়তায় সম্পন্ন হয়েছে।

তবে গাজা বাসিন্দা ও মানবিক কর্মীরা এই এয়ারড্রপ কার্যক্রমের সমালোচনা করেছেন। তাদের মতে, এয়ারড্রপ ঝুঁকিপূর্ণ, অপ্রতুল এবং অপ্রয়োজনীয়। স্থলপথে ত্রাণ পাঠানো অনেক বেশি কার্যকর এবং নিরাপদ।


জর্ডান দাবি করেছে, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে তারা স্থলপথে ১৪০টি ত্রাণবহর পাঠিয়েছে। প্রতিটি বহরে ছিল একাধিক ট্রাক। তবে এসব পাঠানোর জন্যও ইসরাইলি অনুমতি ও সমন্বয় প্রয়োজন হয়।

ফিলিস্তিনি কর্মকর্তাদের মতে, যুদ্ধের আগে গাজায় প্রতিদিন ৫০০ ট্রাক ত্রাণ পৌঁছানো জরুরি ছিল। কিন্তু যুদ্ধ শুরুর পর থেকে তা কখনোই পূরণ হয়নি। ফলে গাজার মানবিক সংকট দিন দিন তীব্রতর হচ্ছে

Facebook Comments Box

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আরসিটিভি’তে সংবাদ প্রকাশের পর জলাবদ্ধতায় পানিবন্দি পরিবারের পাশে জামায়াত নেতা হারুন

জুলাই পুনর্জাগরণে নতুন সমাজ গড়ার প্রত্যয়ে রাজশাহীতে শপথ

‎কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে দায়িত্বরত চিকিৎসক না থাকায় রোগীর মৃত্যু

লালমনিরহাটে জমি নিয়ে সংঘর্ষে ১০০ বছরের বৃদ্ধার মৃত্যু , আহত ৩

আর্জেন্টিনার পর গ্রুপসেরা হয়ে সেমিতে ব্রাজিল, প্রতিপক্ষ কারা

কুড়িগ্রামে রাতের আধাঁরে নৌকা বানিয়ে ঝুলিয়ে দিলেন রাস্তায়, সকালে গ্রেফতার আওয়ামী নেতা

আরসিটিভিতে সংবাদ প্রকাশের পর কৃত্রিম জলাবদ্ধতা নিরসন করলো উপজেলা প্রশাসন

সারাদেশের মতো লালমনিরহাটেও জুলাই পুনর্জাগরণে লাখো কণ্ঠে শপথ

মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ, রোববার-সোমবার বন্ধ

চ্যাটজিপিটির কাছে দিনে কত কোটি তথ্য জানানোর অনুরোধ আসে

১০

“পরিকল্পনা করেই সিনেমায় এসেছি,” সাবিলা নূর

১১

নিষিদ্ধ হলেন মেসি, শাস্তি পেলেন আলবাও

১২

বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ও নিখোঁজের সংখ্যা প্রকাশ করল মাইলস্টোন কর্তৃপক্ষ

১৩

‘তখন বাইরে বের হতেই ইচ্ছা হতো না’, ক্যারিয়ারের অন্ধকার দিক নিয়ে অভিনেত্রী

১৪

আসাদুল্লাহকে সভাপতি ও তুষারকে সম্পাদক করে রংপুরে গণঅধিকার পরিষদের জেলা কমিটি গঠন

১৫

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আন্দ্রে রাসেলের যুগের সমাপ্তি

১৬

বৃত্তি পরীক্ষায় বৈষম্যের প্রতিবাদে কুড়িগ্রামে কিন্ডারগার্টেন শিক্ষকদের মানববন্ধন

১৭

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ট্রাকের ধাক্কায় নিহত এক, আহত দুই

১৮

স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক থাকবে না

১৯

হোয়াইটওয়াশের লক্ষ্যে যে একাদশ নিয়ে মাঠে নামছে বাংলাদেশ

২০