মাইগ্রেন এক ধরনের তীব্র মাথাব্যথা, যা মানসিক চাপ, অনিয়মিত ঘুম, সঠিক সময়ে না খাওয়া কিংবা দৈনন্দিন জীবনের ব্যস্ততা থেকে শুরু হতে পারে। মাইগ্রেনের ব্যথা সাধারণ মাথাব্যথার চেয়েও অনেক বেশি কষ্টদায়ক। কখনো কখনো এই ব্যথা ওষুধেও সহজে উপশম হয় না। এর মধ্যে কিছু খাবার আছে, যেগুলো খেলে ব্যথার মাত্রা আরও বেড়ে যেতে পারে। তাই মাইগ্রেন রোগীদের এসব খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।
যে খাবারগুলো মাইগ্রেন বাড়াতে পারে:
চা ও কফি: এই পানীয়গুলোতে ক্যাফেইন থাকে, যা অতিরিক্ত পরিমাণে গ্রহণ করলে মাইগ্রেনের ব্যথা তীব্র করে তুলতে পারে। তাই এই ধরনের পানীয় এড়িয়ে চলাই ভালো।
অ্যালকোহল: মাইগ্রেনের রোগীদের জন্য অ্যালকোহল একেবারেই নিষিদ্ধ। এটি মাথাব্যথার মাত্রা বাড়িয়ে তোলে।
লবণ: অতিরিক্ত লবণ বা সোডিয়ামযুক্ত খাবার শুধু মাইগ্রেন নয়, উচ্চ রক্তচাপ ও ক্লান্তিরও কারণ হতে পারে। তাই লবণ খাওয়ার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি।
চকোলেট: এতে ক্যাফেইন ও বিটা-ফেনাইলথাইলামাইন নামে এক উপাদান থাকে, যা মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়িয়ে দিতে পারে। তবে কারও কারও ক্ষেত্রে অল্প পরিমাণে খেলে সমস্যা না-ও হতে পারে।
পিনাট বাটার বা চিনা বাদামের মাখন: কিছু মানুষের ক্ষেত্রে এই খাবারগুলোও মাইগ্রেন ট্রিগার করতে পারে। তাই যাদের এ ধরনের সমস্যা আছে, তাদের এগুলো এড়িয়ে চলা উচিত।
মাইগ্রেনে আক্রান্ত ব্যক্তিরা প্রায়ই বমি বমি ভাব, গন্ধ না পাওয়া, ক্লান্তি, রাগ বা মেজাজ পরিবর্তন, হাত-পায়ে ব্যথা কিংবা আলোতে চোখে সমস্যা অনুভব করেন। সাধারণত নারীদের মধ্যে মাইগ্রেনের প্রবণতা পুরুষদের তুলনায় বেশি দেখা যায়। যদি পরিবারে মাইগ্রেনের ইতিহাস থাকে, তবে সেই ব্যক্তিরও মাইগ্রেনে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
মাইগ্রেনের রোগীদের চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ গ্রহণ করা জরুরি। সেই সঙ্গে এমন কিছু খাবার খাওয়া উচিত, যেগুলো ব্যথা উপশমে সাহায্য করে। সঠিক জীবনযাপন এবং খাদ্যাভ্যাস মেনে চললে মাইগ্রেন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
মন্তব্য করুন