ইরানের সেনাবাহিনী এমন কিছু ‘অতিগোপন’ ও উন্নত প্রযুক্তির অস্ত্র মজুদ রেখেছে, যেগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) দ্বারা চালিত এবং এখনো জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয়নি। এমনটাই জানিয়েছেন দেশটির স্থলবাহিনীর প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কিয়োমারস হেইদারি।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) আল-আলম চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হেইদারি বলেন,
“আমাদের হাতে এমন কিছু কৌশলগত অস্ত্র রয়েছে, যেগুলো এখনো গোপন রাখা হয়েছে। তবে সেগুলো পুরোপুরি সক্রিয় এবং প্রয়োগযোগ্য।”
তিনি জানান, ইরান-ইরাক যুদ্ধ (১৯৮০–১৯৮৮) পরবর্তী সময়ে ইরানের স্থলবাহিনীর ভেতর একটি আমূল পরিবর্তন এসেছে। এখন এটি একটি গতিশীল, আধুনিক ও দ্রুত প্রতিক্রিয়াশীল বাহিনী হিসেবে গড়ে উঠেছে।
সীমান্তে নজরদারি ও সাইবার সক্ষমতা
হেইদারি বলেন, বাহিনীটির নজরদারি ও সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সীমান্ত অঞ্চলে ১০টি ডিভিশন মোতায়েন রয়েছে, যা গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ও প্রতিরক্ষায় সম্পূর্ণ সক্ষম। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন,
“এর অর্থ এই নয় যে সব হুমকি দূর হয়ে গেছে। এটি প্রতিরোধমূলক প্রস্তুতি, যা স্থায়ী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়ক।”
তিনি আরও জানান, গত বছরের শেষ তিন মাসে সেনাবাহিনী পূর্ব, পশ্চিম ও উপকূলীয় এলাকায় তিনটি বড় সামরিক মহড়া সম্পন্ন করেছে।
সাইবার যুদ্ধের সম্ভাব্য হুমকির বিষয়ে তিনি বলেন,
“আমরা ইতোমধ্যে একটি বিশেষায়িত সাইবার ইউনিট গঠন করেছি। এটি সর্বোচ্চ প্রযুক্তি সক্ষমতায় সজ্জিত এবং যে কোনো ডিজিটাল হামলা মোকাবিলায় প্রস্তুত।”
সমন্বিত প্রতিরক্ষা কাঠামো ও আঞ্চলিক প্রভাব
হেইদারি বলেন, স্থল, সমুদ্র ও আকাশ—সব ক্ষেত্রেই ইরানের সেনাবাহিনী ও ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি)-এর মধ্যে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় ও সহযোগিতা বিদ্যমান।
সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানও সেনাবাহিনীর প্রশংসা করে বলেন,
“ইরানের প্রতিরক্ষা কাঠামো ও প্রস্তুতি অন্যান্য দেশের জন্য আদর্শ। এটি আঞ্চলিক নিরাপত্তার এক নিরবিচল শক্তি।”
মন্তব্য করুন