চুলের ডগা ফাটার সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। তেল মেখেও চুলের রুক্ষতা কমে না, বরং মাঝে মাঝে দেখা যায় তেলের পরেও ডগা ফেটে যাচ্ছে। এমন চুলের জন্য দরকার বাড়তি যত্ন ও আর্দ্রতা। শুধু তেল বা মৃদু শ্যাম্পু ব্যবহার করলেই চলবে না, বরং প্রয়োজন বিশেষ যত্ন এবং ঘরোয়া উপায়ে চুলের গভীর পরিচর্যা।
শীত হোক বা গ্রীষ্ম—চুল অনেক সময়ই রুক্ষ হয়ে পড়ে। অনেকে চুল সোজা করার জন্য ইলেকট্রিক স্ট্রেটনার বা হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করেন, যা অতিরিক্ত তাপ সৃষ্টি করে এবং এতে চুলের ডগা ফাটার সম্ভাবনা বাড়ে। তেল লাগালেও ঠিকঠাক ফল না পাওয়ার মূল কারণ হতে পারে চুলের ভেতরের আর্দ্রতার অভাব। এ ছাড়া সূর্যের তাপ, ধুলোবালি, কেমিক্যালযুক্ত রং বা গরম পানিতে চুল ধোয়ার অভ্যাসও চুলের ডগা ফাটার অন্যতম কারণ।
কী করবেন চুলের ডগা ফাটা রোধে?
১. সরাসরি রোদ থেকে চুল বাঁচাতে ছাতা বা টুপি ব্যবহার করুন।
২. চুলে নিয়মিত লিভ-ইন কন্ডিশনার ব্যবহার করুন, যা চুলে আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।
৩. চুল শুকানোর জন্য যন্ত্রের ব্যবহার এড়িয়ে চলুন; হাওয়া দিয়ে বা নিজে থেকেই শুকাতে দিন।
৪. সুতির ও নরম বালিশের কভার ব্যবহার করুন, যাতে ঘর্ষণ কম হয়।
5. রাসায়নিকযুক্ত রং ও গরম পানি দিয়ে চুল ধোয়া বন্ধ করুন।
6. প্রচুর পানি পান করুন—ভেতর থেকে আর্দ্রতা বজায় রাখাও জরুরি।
চুলের ডগা ফাটার আরেকটি বড় কারণ হলো পুষ্টির অভাব। ভিটামিন ‘ই’ চুলে পুষ্টি ও আর্দ্রতা যোগায়, ফলে এটি নিয়মিত ব্যবহার করলে চুল আরও মসৃণ ও প্রাণবন্ত থাকে।
চুলের জন্য একটি প্রাকৃতিক মাস্ক বানাতে পারেন কলা, অলিভ অয়েল ও ভিটামিন ‘ই’ ক্যাপসুল দিয়ে।
যেভাবে তৈরি করবেন মাস্কটি:
একটি পাকা কাঁঠালি কলা চটকে নিন অথবা মিক্সারে ব্লেন্ড করে নিন।
তাতে ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন।
এরপর একটি ভিটামিন ‘ই’ ক্যাপসুল ভেঙে এর তেল মিশিয়ে দিন।
তিনটি উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে চুলে লাগান। আগে থেকে পরিষ্কার চুলে এই মিশ্রণটি মাথার ত্বক ও সম্পূর্ণ চুলে লাগিয়ে হালকা হাতে ২ মিনিট মালিশ করুন। এরপর ১৫ মিনিট রেখে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিন এবং মৃদু শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।
নিয়মিত এই মাস্ক ব্যবহার করলে চুল হবে কোমল, মসৃণ এবং ডগা ফাটার সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে।
মন্তব্য করুন