পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে নতুন চুক্তির প্রস্তাব দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি ইরানকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। এর জবাব হিসেবে তেহরান তাদের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে আলজাজিরা।
ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনা দেশটির উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি-কে উদ্ধৃত করে জানায়, ট্রাম্পের চিঠির জবাব ওমানের মাধ্যমে যথাযথভাবে হোয়াইট হাউসে পাঠানো হয়েছে।
আরাগচি আরও বলেন,
“সর্বোচ্চ চাপ ও সামরিক হুমকির মধ্যে থাকা অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসার কোনো পরিকল্পনা আমাদের নেই। তবে অতীতের মতো পরোক্ষ আলোচনা সম্ভব।”
তিনি আরও জানান, ইরানের পক্ষ থেকে পাঠানো জবাবে ট্রাম্পের চিঠির বিভিন্ন দিক এবং ইরানের বর্তমান অবস্থান বিশদভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
২০১৮ সালে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে একতরফাভাবে ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি (জেসিপিওএ) থেকে প্রত্যাহার করে নেন এবং ইরানের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। তার ‘সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের’ নীতির অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
চলতি বছরের ৭ মার্চ ট্রাম্প ঘোষণা দেন যে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনায় বসার জন্য তিনি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে একটি চিঠি লিখেছেন। সেই সঙ্গে তিনি হুঁশিয়ারি দেন— তেহরান আলোচনায় রাজি না হলে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ট্রাম্পের চিঠি সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাধ্যমে ইরানে পৌঁছেছিল এবং এতে দুই মাসের মধ্যে আলোচনায় বসার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল।
যদিও ইরান সরাসরি আলোচনায় বসতে এখনো রাজি নয়, তবে পরোক্ষ আলোচনা চালিয়ে যেতে তাদের আপত্তি নেই। কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দুই দেশের মধ্যে চলমান উত্তেজনার নিরসনে মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
এখন দেখার বিষয়, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের এই প্রতিক্রিয়ার ওপর কী সিদ্ধান্ত নেয় এবং দুই দেশ আদৌ কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারে কি না।
মন্তব্য করুন