পানামা সরকার জানিয়েছে, দেশের সার্বভৌমত্ব ও কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ পানামা খালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তারা কঠোর অবস্থান বজায় রাখবে।
এমন মন্তব্য এসেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পানামা খালের নিয়ন্ত্রণ নিতে বিভিন্ন উপায় খুঁজছেন—এমন খবর প্রকাশের পর।
দুই মার্কিন কর্মকর্তার বরাতে এনবিসি নিউজ জানায়, পানামাতে মার্কিন সেনা মোতায়েন বাড়ানোর উপায় খুঁজতে সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছে হোয়াইট হাউস।
প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে—
✅ নিরাপত্তা সহযোগিতা জোরদার
✅ সেনা উপস্থিতি বৃদ্ধি
✅ প্রয়োজনে পানামা খালের দখল নেওয়া
এই বিষয়ে হোয়াইট হাউস ও পেন্টাগনের প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছিল এএফপি, তবে কোনো তাৎক্ষণিক সাড়া মেলেনি।
পানামার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হ্যাভিয়ার মার্তিনেজ-আচা সাংবাদিকদের বলেন,
👉 “আমাদের ভূখণ্ড, পানামা খাল ও সার্বভৌমত্বের সুরক্ষায় আমরা শক্ত অবস্থান বজায় রাখব।”
তিনি আরও বলেন,
👉 “পরিষ্কার করে বলছি, এ খাল পানামার জনগণের এবং তা তাদেরই থাকবে।”
১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর পানামা খালের নিয়ন্ত্রণ পানামার হাতে তুলে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এরপর থেকে দেশটিতে কোনো মার্কিন সেনা নেই।
তবে এনবিসি নিউজের প্রতিবেদনে হঠাৎ পানামায় মার্কিন সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনার কথা উঠে আসায় দেশটি হতবাক হয়েছে।
সম্প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন,
👉 “প্রয়োজনে জোর করে হলেও পানামা খালের নিয়ন্ত্রণ নেবে যুক্তরাষ্ট্র।”
ট্রাম্পের দাবি, পানামা খালে চীনের প্রভাব বাড়ছে। কারণ, খালের বন্দর পরিচালনার দায়িত্বে ছিল একটি হংকংভিত্তিক কোম্পানি। তবে কোম্পানিটি ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠানের কাছে বন্দর বিক্রি করে দিয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে পানামা সরকার যে সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কঠোর অবস্থান নেবে, তা স্পষ্ট করে দিয়েছে।
মন্তব্য করুন