তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান বলেছেন, তুরস্ক এখন আর বিশ্ব রাজনীতিতে একটি নিরব পর্যবেক্ষক নয়, বরং একজন ‘পাকা খেলোয়াড়’ (Playmaker) হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
সম্প্রতি রমজানের শুরুতে ইস্তানবুলে আয়োজিত একটি ইফতার অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন,
“আজকের তুরস্ক শক্তিশালী, কার্যকরী এবং প্রতিটি ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব রাখছে। এই দেশ এখন কেবল নিজের জনগণের জন্য নয়, বরং বিশ্বের নিপীড়িত ও বঞ্চিত মানুষের জন্যও একটি আশার প্রতীক হয়ে উঠেছে।”
এরদোগান বলেন,
🔹 “আমরা সবসময় শান্তি ও সংলাপকে অগ্রাধিকার দিই। কিন্তু যদি আমাদের প্রসারিত হাত প্রত্যাখ্যান করা হয়, তাহলে আমাদের লৌহমুষ্ঠি সবসময় প্রস্তুত থাকবে।”
🔹 তিনি আরও জোর দিয়ে বলেন,
“তুরস্কের বিরুদ্ধে যে কুটিল ও গোপন ষড়যন্ত্র চলছে, তা আমরা ব্যর্থ করে দিচ্ছি। আমরা পুরোপুরি সন্ত্রাসমুক্ত একটি তুরস্ক গড়তে কাজ করছি।”
এরদোগানের বক্তব্যের পরপরই কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে) আনুষ্ঠানিকভাবে অস্ত্রবিরতির ঘোষণা দেয়।
🔹 পিকেকে’র বিবৃতিতে বলা হয়:
“আমাদের নেতা আবদুল্লাহ ওজালানের শান্তি ও গণতন্ত্রের আহ্বান বাস্তবায়নের পথ তৈরি করতে আমরা আজ থেকে অস্ত্রবিরতি ঘোষণা করছি।”
🔹 তারা আরও জানায়:
“আমরা সরকারের সঙ্গে প্রত্যক্ষ আলোচনা শুরু করতে প্রস্তুত।”
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি টেলিভিশনে প্রচারিত এক ঘোষণায় তুরস্কের সংসদে কুর্দি সমর্থিত দল ডিইএম পার্টি পিকেকে নেতা আবদুল্লাহ ওজালানের ঐতিহাসিক বার্তা পাঠ করে শোনায়, যেখানে তিনি তার সংগঠনকে অস্ত্র ত্যাগের আহ্বান জানান।
🔗 তথ্যসূত্র: হুরিয়েত ডেইলি নিউজ
মন্তব্য করুন