বিভিন্ন নাটকীয়তার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কানাডা ও মেক্সিকোর ওপর প্রস্তাবিত ২৫% শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত এক মাসের জন্য স্থগিত করেছেন।
মঙ্গলবার থেকে নতুন শুল্ক কার্যকর হওয়ার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে তিনি এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন। অন্যদিকে, কানাডা ও মেক্সিকো সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার ও মাদক পাচার রোধে পদক্ষেপ নিতে রাজি হয়েছে।
সমঝোতা অনুযায়ী—
ট্রাম্পের সঙ্গে কয়েক দফা ফোনালাপের পর কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া শেইনবাউম এই পদক্ষেপ নিতে সম্মত হয়েছেন।
কানাডা ও মেক্সিকো যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার। ট্রাম্প যদি তার শুল্ক পরিকল্পনায় অনড় থাকতেন, তাহলে উভয় দেশ পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছিল।
এদিকে, ট্রাম্পের ঘোষণামতে চীনা পণ্যের ওপর ১০% শুল্ক আজ থেকেই কার্যকর হওয়ার কথা। তবে চীন পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছে এবং বিষয়টি নিয়ে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় অভিযোগ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিয়াভিট জানিয়েছেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ট্রাম্প চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে কথা বলবেন।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো জানিয়েছেন—
বিশ্লেষকদের মতে, শেষ মুহূর্তে ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত বদল রাজনৈতিক দিক থেকে স্বস্তির হলেও, এটি ব্যবসায়ীদের জন্য অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিবিসির বিজনেস রিপোর্টার জোনাথন জোসেফস জানিয়েছেন, শুল্ক কার্যকরের কয়েক ঘণ্টা আগে হঠাৎ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করায় বিভিন্ন কোম্পানির প্রধান নির্বাহীরা (CEO) নতুন বিনিয়োগ পরিকল্পনায় অনিশ্চয়তায় পড়েছেন।
গত কয়েক বছরে অনেক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান চীন থেকে মেক্সিকো বা ভারতে স্থানান্তরিত হয়েছে। কিন্তু ট্রাম্প ভবিষ্যতে কোন দেশকে টার্গেট করবেন, তা স্পষ্ট না হওয়ায় বিনিয়োগকারীরা সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধায় রয়েছেন। এটি অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
মন্তব্য করুন