বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, “দেশে অনেক সংকট থাকার পরও ড. ইউনুস সরকারকে আমরা সবাই সমর্থন জানিয়েছি। কেন না এই সরকার শেখ হাসিনার সরকারের মতো বিদেশে অর্থ পাচার করবে না। জনগণের সেন্টিমেন্ট বুঝে, জনগণের রায় বুঝে আগামী রমজানের আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। তারেক রহমানকে নিয়ে অপপ্রচারে নামবেন না, তাহলে আপনাদের নিজেদেরই উপর অনেক কিছু নেমে আসেবে। মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে সোহাগ হত্যাকান্ডে জড়িতদের শুধু বহিষ্কার নয়, তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে।“
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১ টায় কুড়িগ্রাম কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে জুলাই আগষ্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে কুড়িগ্রামের ১০ শহীদ পরিবারকে আমরা বিএনপি পরিবারের পক্ষে থেকে সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, “জিয়াউর রহমানের অনুকম্পায় দু’একটি ইসলামী দল রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছেন?এখন আপনারা টার্গেট করেছেন তারেক রহমান ও বিএনপিকে। বুক পিঠ বলে আপনাদের কিছু নেই। জিয়াউর রহমান মারা গেলে, এরশাদ বন্দুকের নল দিয়ে গণতন্ত্র হত্যা করলো। সেই এরশাদের সাথে কেউ যাবেনা বললেও আপনারা চলে গেলেন। কার সাথে শেখ হাসিনার সাথে। সবসময় সুবিধা খুঁজে বেরান, সবসময় ধান্দা খুঁজে বেরান। চলে গেলেও বিএনপি যায় নাই। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যায় নাই। জনগণের কাছে দেয়া ওয়াদা থেকে খালেদা জিয়া সরে যায়নি।“
বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, “আমরা ১৬ বছর লড়াই করেছি। আইনের শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হোক, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হোক, একটা অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হোক। ১৬ বছর ভোটাররা ভোট দিতে পারেনি। কিন্তু এই নির্বাচন নিয়ে এত গড়িমসি কেন? জনগণের সেন্টিমেন্ট বুঝে আগামী রমজানের আগে নির্বাচন দেয়ার কথা জানান তিনি।“
অনুষ্ঠানে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোস্তাফিজার রহমানের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ, অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম বেবু, অধ্যাপক হাসিবুর রহমান হাসিব, সাইফুর রহমান রানা প্রমুখ।
অনুষ্ঠান শেষে জুলাই-আগষ্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ পরিবারের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে সহায়তা তুলে দেয়া হয়।
মন্তব্য করুন