টানা ছয়টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে জয়শূন্য থাকা বাংলাদেশের জন্য এটি ছিল যেন বাঁচা-মরার লড়াই। সমালোচনা, চাপ আর আত্মবিশ্বাসের ঘাটতিতে জর্জরিত দলটি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে হেরে আরও কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল। সিরিজ হারের শঙ্কা যখন তীব্র, ঠিক তখনই দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়াল টাইগাররা।
রোববার (১৩ জুলাই) ডাম্বুলায় অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ ৮৩ রানের বিশাল ব্যবধানে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৭৭ রান তোলে বাংলাদেশ। জবাবে লঙ্কানরা গুটিয়ে যায় মাত্র ৯৪ রানে।
এই জয়ে বড় অবদান রাখেন টাইগার অধিনায়ক লিটন দাস। দীর্ঘ ১৩ ইনিংস পর টি-টোয়েন্টিতে ফিফটি পেলেন ডানহাতি এই ওপেনার। ৫০ বল মোকাবিলায় ১ চার ও ৫টি বিশাল ছক্কার সাহায্যে ৭৬ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেন লিটন। মিডল অর্ডারে তাওহীদ হৃদয় ৩১ রান এবং শামীম হোসেন পাটওয়ারীর ঝোড়ো ৪৮ রান করে দলের স্কোর সমৃদ্ধ করেন।
বল হাতে প্রথম ধাক্কা দেন শরিফুল ইসলাম। এরপর রিশাদ হোসেনের স্পিন, মেহেদী হাসান মিরাজের নিখুঁত লাইন-লেংথ, সাইফউদ্দিন ও মুস্তাফিজের অভিজ্ঞতা মিলিয়ে প্রতিপক্ষকে চাপে রাখে বাংলাদেশের বোলিং ইউনিট। শেষ পর্যন্ত মাত্র ১৫ ওভার ২ বলে গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কার ইনিংস।
ম্যাচ শেষে অধিনায়ক লিটনের কণ্ঠে পাওয়া গেল স্বস্তি আর আত্মবিশ্বাসের ছাপ। ম্যাচসেরার পুরস্কার নিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে বড় কথা, আমরা ভালো ক্রিকেট খেলার চেষ্টা করেছি। শামীমকে কৃতিত্ব দিতে হবে, সে শুরুটা চমৎকারভাবে করেছে। উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য দারুণ ছিল। রিশাদও দারুণ বল করেছে, ও যখন ভালো করে, তখন আমাদের দল অনেক ভালো করে। কুশলের রান আউটটা টার্নিং পয়েন্ট ছিল, কারণ ও দারুণ ফর্মে ছিল। শরিফুলও অসাধারণ বোলিং করেছে।’
সিরিজ এখন ১-১ সমতায়। শেষ ও তৃতীয় ম্যাচটি হবে বুধবার (১৬ জুলাই), কলম্বোর আর. প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে। সেই ম্যাচে জয় পেলে শ্রীলঙ্কা সফর শেষ হবে সুখস্মৃতিতে, যা টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজের হতাশা ভুলে আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে পারে টাইগারদের।
মন্তব্য করুন