ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে জনসমক্ষে অনুপস্থিতি দেশজুড়ে উদ্বেগ ও জল্পনার জন্ম দিয়েছে। ইসরায়েল-মার্কিন হামলা ও যুদ্ধবিরতির মতো সংকটময় মুহূর্তে তার নীরবতা রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়িয়ে তুলছে।
ইরানি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের এক উপস্থাপক সরাসরি খামেনির অফিসের এক কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসা করেন, “জনগণ উদ্বিগ্ন, নেতা কেমন আছেন?” খামেনির আর্কাইভ প্রধান মেহদি ফাজায়েলি কোনো স্পষ্ট উত্তর না দিয়ে শুধু বলেন, “সবাই তার জন্য দোয়া করুন।”
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, ইসরায়েলি হামলার ঝুঁকি এড়াতে খামেনি সম্ভবত একটি বাংকারে অবস্থান করছেন এবং ইলেকট্রনিক যোগাযোগ এড়িয়ে চলছেন। বিশ্লেষক হামজা সাফাভি দাবি করেন, খামেনি এখনও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, তবে নিরাপত্তার কারণে দৃশ্যমান হচ্ছেন না।
খামেনির অনুপস্থিতিতে ইরানের শাসনগোষ্ঠীতে বিভেদ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে: প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানের নেতৃত্বে, যারা কূটনৈতিক সমাধানের পক্ষে।সাঈদ জালিলির নেতৃত্বে, যারা যুদ্ধবিরতির বিরোধিতা করছে।খামেনির অনুসারীরা সামাজিক মাধ্যমে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। এক পত্রিকা সম্পাদক লিখেছেন, “তার অনুপস্থিতি আমাদের আতঙ্কিত করছে। যদি তিনি মারা যান, তা হবে ইরানের জন্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত।”
বিশ্লেষকদের মতে, আগামী দিনগুলোতে খামেনির উপস্থিতি বা অনুপস্থিতি ইরানের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে। যদি আরও দীর্ঘ সময় অদৃশ্য থাকেন, দেশে রাজনৈতিক সংকট তীব্র হতে পারে।
বর্তমানে গোটা ইরান একটিই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে: “খামেনি আসলে কোথায়?”
মন্তব্য করুন