রংপুরের অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সেনাবাহিনী, স্বাস্থ্য বিভাগ ও জেলা প্রশাসনের যৌথ অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানের সময় তিনটি বেসরকারি হাসপাতাল ও একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে মোট সাড়ে সাত লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং চারটি প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৬ জুন) দুপুরে রংপুরের ধাপ এলাকায় অবস্থিত উত্তরা জেনারেল হাসপাতাল, স্বপ্ন জেনারেল হাসপাতাল, নিউ রংপুর ক্লিনিক এবং হেলথ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালানো হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের আদেশে তিনটি হাসপাতালকে ২ লাখ টাকা করে এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে দুই মাসের কারাদণ্ডেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এসময় জরিমানার টাকা দিতে না পারায় নিউ রংপুর ক্লিনিক এর স্বত্বাধিকারী এটিএম মাহবুবুল আলমকে এক মাসের কারাদণ্ড দেইয়া হয় এবং হেলথ ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর ম্যানেজার ইদ্রিস আলীকে আটক করা হয়।
অভিযানে অংশ নেন সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাজ্জাদ, রংপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রত্যয় হাশেম এবং সিভিল সার্জন ডা. শিরিন সুলতানা। অভিযানের সময় এসব প্রতিষ্ঠানে অনুমোদনহীন কার্যক্রম, চিকিৎসক ও নার্সের অনুপস্থিতি, রোগীদের সঙ্গে প্রতারণাসহ নানা অনিয়ম ধরা পড়ে।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাজ্জাদ জানান, একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় একটি শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত শুরু হলে এসব অনিয়মের সন্ধান মেলে। তিনি বলেন, “অভিযান অব্যাহত থাকবে, অবৈধ প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করা হবে।”
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রত্যয় হাশেম বলেন, “অনিয়মের প্রমাণ পাওয়ায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতেও এমন অভিযান চলবে।অবৈধ চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান বন্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
সিভিল সার্জন ডা. শাহিন সুলতানা অভিযোগ করেন, “ক্লিনিকগুলোতে পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও নার্স নেই, অনুমতিও নেই। এ ধরনের প্রতিষ্ঠান জনস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি তৈরি করছে।”
মন্তব্য করুন