ঢাকা, ৯ জুন – সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী স্পষ্ট জানিয়েছেন, “তদন্তে কেউ দোষী প্রমাণিত হলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। কিন্তু নির্দোষ কাউকে শাস্তি দেওয়া হবে না।” সোমবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) যাত্রাবাড়ী থানা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ঈদুল আজহার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, “ঈদ উপলক্ষ্যে বড় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। কিছু রাস্তাঘাটের দুর্ঘটনা ও ছোটখাটো অপরাধের খবর পাওয়া গেছে, তবে সামগ্রিকভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল ছিল।” সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সম্প্রতি বিদেশ থেকে ফিরেছেন, কিন্তু তার বিরুদ্ধে এখনও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি—এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “অনেকে বলছেন, কিছু মামলার তদন্ত হয়নি। তবে তদন্ত শেষে যারা দোষী প্রমাণিত হবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা চাই না কোনো নির্দোষ ব্যক্তি শাস্তি পাক।”
তিনি আরও যোগ করেন, “ফৌজদারি মামলায় যথাযথ প্রমাণ ছাড়া কাউকে গ্রেপ্তার করা হবে না। নির্দোষ কাউকে শাস্তি দেওয়ার কোনো যুক্তি নেই।” গত ৮ জুন রাত সাড়ে ১টায় থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে (টিজি-৩৩৯) ব্যাংকক থেকে ঢাকায় ফিরেন আবদুল হামিদ। হুইলচেয়ারে করে তাকে ইমিগ্রেশনে নিয়ে যাওয়া হয় এবং প্রায় এক ঘণ্টা পর রাত ৩টায় তিনি বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।
আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে গত ১৪ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়, যেখানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়সহ আরও কয়েকজনের নাম রয়েছে। তিনি গত ৮ মে চিকিৎসার জন্য ব্যাংকক গিয়েছিলেন, যা নিয়ে দেশে ব্যাপক সমালোচনা হয়। এ ঘটনায় ইমিগ্রেশন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাহসিনা আরিফ এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
আবদুল হামিদ ২০১৩ সালে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন এবং পরবর্তীতে দুই মেয়াদে (২০১৩-২০২৩) রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল তার স্থলাভিষিক্ত হন বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
মন্তব্য করুন