আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে দিনাজপুর জেলার বোচাগঞ্জ উপজেলার খ্যাতনামা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জহুরা ইনডাস্ট্রিজ প্রস্তুত রেখেছে ভারতের রাজস্থান প্রদেশের উন্নত জাতের প্রজননকৃত দুম্বা।
কোরবানির পশু হিসেবে ব্যতিক্রম কিছু খুঁজছেন—এমন ক্রেতাদের জন্য এসব দুম্বা হতে পারে একটি আকর্ষণীয় বিকল্প।
প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে শখের বসে প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার প্রথমবারের মতো ভারতের রাজস্থান থেকে ৫ থেকে ৭টি উন্নত জাতের দুম্বা আমদানি করেন। উদ্দেশ্য ছিল এসব পালন করে ভিন্ন কিছু করা। নিয়মিত পরিচর্যা, উন্নত খাদ্য ও স্বাস্থ্যসেবার কারণে ওই দুম্বাগুলো প্রজননের মাধ্যমে বছর বছর বৃদ্ধি পেতে থাকে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানের খামারে মোট ৩২টি দুম্বা রয়েছে, যাদের মধ্যে ৮ থেকে ১০টি এবারের ঈদুল আযহায় কোরবানির জন্য বিক্রয়ের উপযোগী।
জহুরা অটোরাইস মিল ও ইনডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপক মোঃ লোকমান আলী বলেন, “আমরা শুরুতে এটি করেছি শখের বশে। কিন্তু পরবর্তীতে দেখলাম দুম্বা পালন একটি লাভজনক ও টেকসই খামারি উদ্যোগ হতে পারে। বর্তমানে খামারে থাকা দুম্বাগুলোর ওজন, আকৃতি ও স্বাস্থ্যের দিক থেকে এগুলো অত্যন্ত উন্নত মানের। ইতোমধ্যে ঢাকা ও রংপুরের কয়েকজন ব্যবসায়ীর কাছে সফলভাবে দুম্বা বিক্রি করেছি। এবারের ঈদ উপলক্ষে প্রতি দুম্বার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৬০ হাজার থেকে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকার মধ্যে। আমাদের প্রত্যাশা, এবারও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্যবসায়ী ও সাধারণ ক্রেতারা আগ্রহ নিয়ে আসবেন।”
তিনি আরও জানান, প্রতিটি দুম্বার সঠিক পরিচর্যা নিশ্চিত করতে পশু চিকিৎসকের নিয়মিত তত্ত্বাবধান রাখা হয়। খাদ্যতালিকায় রয়েছে ঘাস, খড়, দানাদার খাদ্য ও প্রাকৃতিক ভিটামিনসমৃদ্ধ উপাদান। ফলে দুম্বাগুলোর স্বাস্থ্য ভালো ও রোগ প্রতিরোধক্ষমতা উন্নত।
এদিকে ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে, কোরবানির পশুর বাজারে ক্রেতারা বাড়তি আকর্ষণের সন্ধান করছেন। সাধারণ গরু ও ছাগলের পাশাপাশি ব্যতিক্রমী পশুর প্রতি আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। বিশেষ করে বড় শহরগুলোর অভিজাত শ্রেণির ক্রেতাদের মধ্যে দুম্বার কদর তুলনামূলকভাবে বেশি।
স্থানীয়রা মনে করছেন, বোচাগঞ্জের এই খামারটি শুধু একটি ব্যবসায়িক উদ্যোগ নয়, বরং এটি পশু পালনের একটি নতুন ধারাও তৈরি করেছে। অনেক তরুণ উদ্যোক্তা খামারটি দেখে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।
মন্তব্য করুন