পানির প্রবাহ বন্ধ করা হলে তা সরাসরি ‘যুদ্ধের কাজ’ হিসেবে গণ্য হবে বলে কড়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। সিএনএন-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
দার বলেন, “জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় কখনও কখনও কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়। ৯ মে রাতে আমরা এমনই একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। যদি আমাদের পানির প্রবাহ বন্ধ করা বা বাঁকানো হয়, তবে তা যুদ্ধের শামিল হিসেবে বিবেচিত হবে।”
উভয় দেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্মান বজায় রেখে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার ওপর জোর দেন দার। তিনি বলেন,
“আমরা চাই পুরো প্রক্রিয়াটি মর্যাদা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার সঙ্গে এগিয়ে যাক। সব বিষয়ই আলোচনা ও কূটনৈতিক পথে সমাধান হওয়া জরুরি। তবেই দীর্ঘমেয়াদি শান্তি ও স্থিতিশীলতার ভিত্তি গড়ে উঠবে।”
কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে দার বলেন, “এটি কেবল পাকিস্তানের দাবি নয়; এটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি বিরোধ।”
তিনি আরও বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কাশ্মীর ইস্যুতে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছেন। এই প্রস্তাবকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ হিসেবে উল্লেখ করে দার বলেন,
“এই দীর্ঘমেয়াদি বিরোধ নিরসনে যুক্তরাষ্ট্রসহ তৃতীয় পক্ষের সমর্থন প্রয়োজন। এক হাতে তালি বাজে না। যৌথ উদ্যোগেই কেবল এই সমস্যার সমাধান সম্ভব।”
ইসহাক দার স্পষ্ট করে বলেন, পাকিস্তান উত্তেজনা বাড়াতে চায় না।
“আমরা ইতোমধ্যে আমাদের কৌশলগত ভারসাম্য ও সার্বভৌম মর্যাদা প্রদর্শন করেছি। তবে সময়ক্ষেপণ করা মানে আরও জটিলতা তৈরি করা। তাই আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করাই সবার জন্য কল্যাণকর।”
দার আরও বলেন, পানির প্রবাহ নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি অত্যন্ত সংবেদনশীল। ভারত যদি এর অপব্যবহার করে, তবে তা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও জটিল করে তুলবে।
“এই ধরনের পদক্ষেপ কেবল সাময়িক উত্তেজনাই নয়, বরং যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে পারে,” — মন্তব্য করেন দার।
সাম্প্রতিক সময়ে কাশ্মীর ইস্যুতে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে পানির প্রবাহ বন্ধ করার বিষয়ে দারের মন্তব্য দুই দেশের মধ্যকার দ্বন্দ্বকে আরও গভীর করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।