ভারতশাসিত কাশ্মীরে গত বৃহস্পতিবার রাতে একটি হামলার ঘটনা ঘটেছে, যা নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। ভারতীয় গণমাধ্যমের মতে, হামলাটি পাকিস্তান থেকে করা হয়েছে। তবে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, পাকিস্তান এ হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং তারা বলছে যে, তারা কোনো ঘোষণা দিয়ে হামলা করবে না। পাকিস্তান আরও জানিয়েছে, তাদের হামলা যখন হবে, তখন সেটা পুরো বিশ্ব দেখবে। তবে হামলা কখন এবং কীভাবে হবে তা এখনো স্পষ্ট হয়নি।
গত ৬ মে দিবাগত রাতে ভারত পাকিস্তানের নয়টি স্থাপনায় হামলা করেছে, যার ফলে বেশ কয়েকজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। পাকিস্তান দাবি করছে, হামলায় নারী ও শিশুরাও নিহত হয়েছে, তবে ভারত তাদের হামলাকে ‘সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে’ আঘাত হিসেবে বর্ণনা করেছে। পাকিস্তান দাবি করেছে, হামলা করা হয়েছিল মসজিদে, যা তাদের জন্য অত্যন্ত স্পর্শকাতর।
পাকিস্তান আরও দাবি করেছে, ভারত এই হামলা করেছে ২২ এপ্রিল পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিশোধ নিতেই। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, “প্রতিটি রক্তবিন্দুর প্রতিশোধ নেওয়া হবে।”
যদিও পাকিস্তান বিভিন্ন পর্যায়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে প্রতিশোধ নেওয়ার, এখনো হামলা হয়নি। পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার গতকাল এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেছেন, আজ পাকিস্তানের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হবে।
ওয়াশিংটনভিত্তিক বিশ্লেষক মাইকেল কুগেলম্যান জানিয়েছেন, পাকিস্তান ভারতের এবারের হামলাকে ২০১৯ সালের তুলনায় আরও ব্যাপক বলে মনে করছে, এবং পাকিস্তানও একটি বড় প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে।
পাকিস্তানের রাজনৈতিক বিশ্লেষক শাহিদ হোসাইন আল-জাজিরাকে জানিয়েছেন, পাকিস্তান ভারতশাসিত কাশ্মীরের বাইরে হামলা করবে না, কারণ তাদের পারস্পারিক সংঘাত বাড়ানোর কোনো ইচ্ছা নেই
মন্তব্য করুন