মসজিদে নামাজ পড়তে এসে যে মুক্তাদি ইমামের সঙ্গে শুরু থেকে নামাজ পায়নি বরং নামাজের কিছু অংশ পেয়েছে, তাকে মাসবুক বলে। মাসবুক মুসল্লিরা ছুটে যাওয়া নামাজ ইমামের সালাম ফিরানোর পর পড়ে নেবে। তারা তাদের ছুটে যাওয়া নামাজ যথারীতি কিরাতসহ আদায় করবে এবং এতে ভুল হলে সাহু সিদজাও করতে হবে।
মাসবুক ব্যক্তি ইমামের সঙ্গে বাকি নামাজ আদায় করে শেষ বৈঠকে শুধু তাশাহহুদ পড়ে চুপ করে বসে থাকবে। এরপর ইমামের উভয় দিকে সালাম ফেরানোর পর দাঁড়িয়ে সে তার ছুটে যাওয়া রাকাতগুলো আদায় করে নেবে।
মাসবুক মুসল্লি ইমামের পেছনে দাঁড়ানোর পর ইমামের সুতরা তার জন্য যথেষ্ট বলে গণ্য হবে। যতক্ষণ মাসবূক মুসল্লি ইমামের সাথে নামাজ পড়বেন ততক্ষণের নামাজে ইমামের সুতরা তার সুতরা বলে গণ্য হবে।
তারপর ইমামের সালাম ফিরানোর পর একাকী বাকি নামাজ আদায়কালে যেহেতু সে একাকী নামাজ আদায়কারী তাই ইমামের সুতরা তার সুতরা বলে গণ্য হবে না। সুতরাং মাসবূকের আলাদা সুতরা প্রয়োজন হলে ব্যবহার করতে হবে।
প্রঙ্গত, সুতরা বলা হয়, বিশেষ কারণে নামাজির সামনে দিয়ে চলাফেরা করতে হলে তার সামনে কোনো কিছু দেওয়াকে।গুনাহ থেকে বাঁচার জন্য সুতরা ব্যবহার করা জরুরি।
সুতরা একটি আরবি শব্দ। এর অর্থ হলো আড়াল। নামাজি ব্যক্তির সামনে এক হাত পরিমাণ লম্বা একটি বস্তু রাখতে হয়, যা তার সামনে দিয়ে চলমান সবকিছু থেকে তাকে হেফাজত করবে-এটাই হলো শরিয়তের পরিভাষায় সুতরা।
সুতরা হিসেবে লাঠি, কাঠি, খুঁটি ইত্যাদি স্থাপন করা হয়। বর্তমানে বাজারে কাঠ ও প্লাস্টিকের সুতরা পাওয়া যায়। সুতরা সাধারণত এক হাত লম্বা এবং এক আঙুল পরিমাণ মোটা হওয়া উচিত।
মন্তব্য করুন