দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় ফিরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ধনকুবের ইলন মাস্ককে ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট ইফিশিয়েন্সি’ (ডোজ)-এর দায়িত্ব দেন। এরপর থেকে এই সংস্থা দাবি করছে, প্রতি সপ্তাহে গড়ে এক হাজার কোটি মার্কিন ডলার বা ১০ বিলিয়ন ডলার সাশ্রয় হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, “আমরা প্রায় ২০০ বিলিয়ন ডলার সাশ্রয়ের কথা বলছি এবং এই সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে।” ডোজের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, তারা আগের প্রশাসনের করা বিভিন্ন চুক্তি, অনুদান ও লিজ বাতিল করছে। পাশাপাশি জালিয়াতি প্রতিরোধ ও সরকারি কর্মী সংখ্যা কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে সংস্থাটি।
শনিবার দুপুর ১১টা ৩০ মিনিটে ডোজের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, তারা ইতিমধ্যে প্রায় ১৬ হাজার কোটি ডলার সাশ্রয় করেছে এবং খরচ কমাতে ১৮ হাজার ৩৯৩টি পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করেছে।
তবে ডোজের এই সাশ্রয়ের দাবির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা। বিবিসি-সহ যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি গণমাধ্যম ডোজের তথ্য বিশ্লেষণ করে জানিয়েছে, ওয়েবসাইটে উল্লেখিত তথ্যে ঘাটতি ও ভুল রয়েছে। উদাহরণ হিসেবে, ডোজ দাবি করেছে যে একটি অভিবাসন সংক্রান্ত চুক্তি বাতিল করে ৮০০ কোটি ডলার সাশ্রয় হয়েছে, অথচ প্রকৃত চুক্তির মূল্য ছিল মাত্র ৮০ লাখ ডলার।
গত অক্টোবরে ইলন মাস্ক ঘোষণা দিয়েছিলেন, ফেডারেল সরকারের বাজেট থেকে দুই লাখ কোটি মার্কিন ডলার সাশ্রয় করবেন। পরে তিনি লক্ষ্য পরিবর্তন করে বলেন, ২০২৬ সালের শেষ নাগাদ ১৫ হাজার কোটি ডলার সাশ্রয় করবেন। ১০ এপ্রিল পর্যন্ত ডোজ দাবি করেছে, তারা জালিয়াতি ও অপচয় প্রতিরোধ করে ইতিমধ্যে ১৫ হাজার কোটি ডলার সাশ্রয় করেছে।
উল্লেখ্য, গত অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের মোট বাজেট ছিল ছয় লাখ ৭০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার।
ডোজ ভুল তথ্যের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত মোট সাশ্রয়ের ৩০ শতাংশের প্রমাণ প্রকাশ করা হয়েছে। কিছু তথ্য আইনি সীমাবদ্ধতার কারণে প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
মন্তব্য করুন