ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কামাল উদ্দিন জানিয়েছেন, এসএসসি পরীক্ষা পেছানোর কোনো সুযোগ নেই এবং ১০ এপ্রিল থেকেই নির্ধারিত রুটিন মেনে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
সম্প্রতি এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা পেছানোর দাবি জানিয়ে কিছু পরীক্ষার্থী আন্দোলন করার ঘোষণা দেয়। তারা ফেসবুকে গুজব ছড়িয়ে এবং অসহযোগ আন্দোলনের হুমকি দেয়।
এ বিষয়ে ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার বলেন, ‘‘পরীক্ষার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়ে গেছে এবং পরীক্ষা শুরুর আগেই সব পরীক্ষার সরঞ্জামাদি পাঠানোর কাজ শেষ হবে। তাই এখন পরীক্ষা পেছানোর কোনো সুযোগ নেই, এবং এমন আন্দোলন অযৌক্তিক।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘আমাদের কাছে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, অধিকাংশ শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। কিছু শিক্ষার্থী ফেসবুকে গুজব ছড়িয়ে পরীক্ষা পেছানোর ষড়যন্ত্র করছে। পরীক্ষার্থীদের এসব গুজবে কান না দিয়ে, নিজেদের প্রস্তুতি ভালোভাবে শেষ করার পরামর্শ দিচ্ছি।’’
এসএসসি, দাখিল এবং এসএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষা আগামী ১০ এপ্রিল থেকে শুরু হবে, এতে মোট ১৯ লাখ ২৮ হাজার ২৮১ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষার লিখিত অংশ ১৩ মে পর্যন্ত চলবে, এবং মাদরাসা বোর্ডের অধীনে দাখিল পরীক্ষা ১৫ মে পর্যন্ত শেষ হবে। এরপর ব্যবহারিক পরীক্ষা ২২ মে পর্যন্ত চলবে।
এর আগে, ৩ এপ্রিল ‘এসএসসি পরীক্ষার্থী ২০২৫’ নামক একটি গ্রুপ থেকে গণমাধ্যমে একটি বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়, যাতে তারা পরীক্ষার একমাস সময় পিছিয়ে দেওয়ার দাবি জানায়। পরীক্ষার্থীদের দাবি ছিল, পবিত্র রমজান মাসে রোজা রেখে ভালোভাবে প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব হয়নি এবং ঈদের পরপরই পরীক্ষা শুরু হওয়ায় পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিতে সমস্যা হচ্ছে। তারা বিশ্বাস করে যে, এক মাস সময় পেলে ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে পারবে এবং ফলাফলে কোনো বিপর্যয় হবে না।
মন্তব্য করুন