মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বাড়ার কারণে বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ইয়েমেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পালটাপালটি হামলার প্রেক্ষিতে ৪ মার্চের পর তেলের দাম সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
ইয়েমেনে মার্কিন বিমান হামলার পর, যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরীতে ইয়েমেন দুই দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এ হামলা দুটি বিশ্ব বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধি এবং মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা বৃদ্ধির প্রধান কারণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
বিশ্ববাজারে তেলের দাম বৃদ্ধি: ইয়েমেনের উপর হামলার পর, এশীয় বাজারে প্রথম দিকে ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (WTI) ফিউচার NYNEX-এ তেলের দাম ১.৫ শতাংশ বেড়ে ৬৮.১৯ ডলারে পৌঁছেছে। অপরদিকে, ব্রেন্ট ক্রুড ফিউচার ICE-এ ১.৪২ শতাংশ বেড়ে ৭১.৫৮ ডলারে পৌঁছায়, যদিও পরে কিছুটা কমে আসে।
প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম বৃদ্ধি: এছাড়া, প্রাকৃতিক গ্যাসের ফিউচার মূল্যও প্রায় ১ শতাংশ বেড়ে ৪.১৪ ডলার প্রতি মিলিয়ন ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিটে (MMBtu) পৌঁছেছে।
চীনের অর্থনৈতিক পরিকল্পনা এবং তেলের চাহিদা: চীন তাদের স্থানীয় বাজারে ভোগব্যয় বৃদ্ধির জন্য একটি বিশেষ পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে, যা বিশ্ববাজারে তেলের চাহিদা বাড়ানোর প্রত্যাশা সৃষ্টি করেছে। চীনের সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনগুলো ইতিবাচক সংকেত দিয়েছে, এবং খুচরা তেল বিক্রির পরিমাণ বছরে প্রথম দুই মাসে ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা গত ডিসেম্বরে ৩.৭ শতাংশ বৃদ্ধির তুলনায় দ্রুততর।
এই ঘটনাগুলি বাজারের ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলছে এবং মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনা বিশ্ববাজারে তেলের দাম এবং অন্যান্য শক্তির খরচ বৃদ্ধির কারণ হতে পারে।
মন্তব্য করুন