ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস হ্যারি এস ট্রুম্যান এবং মার্কিন নৌবাহিনীর অন্যান্য অবস্থানে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে। এই হামলা মার্কিন ও ব্রিটিশ সামরিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক জবাব বলে জানিয়েছেন ইয়েমেনি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি।
স্থানীয় সময় রোববার রাতে এক ভাষণে ইয়াহিয়া সারি বলেন—
🔹 ‘মার্কিন শত্রু ইয়েমেনের বিভিন্ন এলাকায় ৪৭টির বেশি বোমা ফেলেছে।’
🔹 ‘আমাদের সশস্ত্র বাহিনীও মার্কিন সামরিক অবস্থান লক্ষ্য করে আক্রমণ চালিয়ে যেতে পিছপা হবে না।’
তিনি আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ আগ্রাসনে বহু নিরীহ মানুষ নিহত হয়েছে। এরই প্রতিশোধ হিসেবে ইয়েমেনি বাহিনী ১৮টি ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।
ইয়েমেনি আনসারুল্লাহ আন্দোলনের নেতা আবদুল-মালিক আল-হুথি রোববার এক ঘোষণায় বলেছেন—
⚠️ ‘গাজা উপত্যকার সীমান্ত খুলে দেওয়ার সময়সীমা পার হয়ে গেছে। এখন থেকে আমরা ইসরাইলগামী সব জাহাজকে নিষিদ্ধ করলাম।’
⚠️ ‘কোনো ইসরাইলি জাহাজ ছাড় পাবে না, যেকোনো সময় সেগুলোকে টার্গেট করা হবে।’
আল-হুথি যুক্তরাষ্ট্রকে সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন—
🚨 ‘মার্কিন আগ্রাসন কঠোর প্রতিরোধের মুখে পড়বে।’
🚨 ‘আমাদের সশস্ত্র বাহিনী মার্কিন যুদ্ধজাহাজ এবং বিমানবাহী রণতরীগুলোকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইসরাইল ও তার মিত্রদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়া হবে, যতক্ষণ না তারা আমাদের দাবিগুলো মেনে নেয়।’
আবদুল-মালিক আল-হুথি ইতোমধ্যে ইসরাইলকে চার দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন গাজার সীমান্ত খুলে দেওয়ার জন্য। কিন্তু নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হয়ে যাওয়ার পর এখন ইসরাইলি জাহাজ ও মার্কিন যুদ্ধজাহাজের ওপর হামলা জোরদার হচ্ছে।
📌 বিশ্লেষকদের মতে, এই হামলা মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলবে এবং যুক্তরাষ্ট্র-ইয়েমেন সংঘাত নতুন মাত্রা পেতে পারে।
🔗 [সূত্র: মেহের নিউজ]
মন্তব্য করুন