রোজা অবস্থায় মুখে ক্রিম, লোশন বা তেল ব্যবহার করলে কি রোজা ভাঙবে?
রোজার মূলনীতি অনুযায়ী, যেকোনো বস্তু যদি শরীরের ভেতরে প্রবেশ করে এবং তা পাকস্থলী বা মস্তিষ্কে পৌঁছে যায়, তাহলে রোজা ভঙ্গ হয়।
এই নীতির ভিত্তিতে, তেল, আতর, সুরমা, লোশন, ক্রিম, মলম, পাউডার বা চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত চামড়ার প্লাস্টার ইত্যাদি রোজা ভঙ্গ করে না, কারণ এসব উপাদান শরীরের ভেতরে প্রবেশ করে না বা পাকস্থলী পর্যন্ত পৌঁছায় না।
🔹 ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ গ্রন্থে বলা হয়েছে—
“তেল, ক্রিম, লোশন, মলম বা চামড়ায় ব্যবহৃত চিকিৎসার উপকরণ রোজা ভঙ্গ করে না। কারণ, এসব বস্তু চামড়ার মাধ্যমে শোষিত হলেও পাকস্থলীতে পৌঁছায় না।” (ইবনে জিবরীন, ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ ২/১২৭)
এ বিষয়ে হাদিস শরিফে সুরমা সম্পর্কে স্পষ্ট উল্লেখ আছে, যা অন্যান্য প্রসাধন সামগ্রীর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
🔹 আনাস ইবনে মালেক (রা.) বর্ণনা করেন—
এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে এসে জিজ্ঞেস করলেন, “আমি চোখে কষ্ট পাচ্ছি। রোজা রেখে কি সুরমা ব্যবহার করতে পারি?”
রাসুলুল্লাহ (সা.) উত্তর দিলেন, “হ্যাঁ, পারো।” (সুনানে তিরমিযী ১/১৫৪)
রোজা রেখে ক্রিম, লোশন, তেল, সুরমা বা মলম ব্যবহার করা জায়েজ, কারণ এগুলো শরীরের ভেতরে প্রবেশ করে না এবং রোজা ভঙ্গের কারণ হয় না।
মন্তব্য করুন