ফল আমদানিতে অতিরিক্ত শুল্কারোপ করায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ফল আমদানি বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। সোমবার থেকে এ স্থলবন্দর দিয়ে কোনো ফল আমদানি হয়নি।
বেনাপোল আমদানি ও রপ্তানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জানিয়েছেন, সরকার ১৩ জানুয়ারি আমদানি করা তাজা ফলের ওপর সম্পূরক শুল্ক ২০% থেকে বাড়িয়ে ৩০% করেছে। এর ফলে আমদানির খরচ বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ীরা ফল আমদানি বন্ধ রেখেছেন।
কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, বেনাপোল বন্দর দিয়ে ফল আমদানি অর্ধেকেরও নিচে নেমে এসেছে। প্রতিদিন এই বন্দর দিয়ে শুধুমাত্র ফল আমদানিতে ২৫ কোটি টাকার রাজস্ব আয় হতো, যা বর্তমানে ৫ কোটিতে নেমে এসেছে।
স্থানীয় আমদানিকারকরা জানিয়েছেন, বেনাপোল বন্দর দিয়ে দেশের বাজারে বিপুল পরিমাণ ফল সরবরাহ করা হয়। রমজানের আগে ফলের চাহিদা বৃদ্ধি পায়, কিন্তু উচ্চ শুল্কের কারণে আমদানি কমে যাওয়ায় বাজারে ফলের দাম বেড়ে গেছে। সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে অনেক ধরনের আমদানিকৃত ফল।
ব্যবসায়ীদের দাবি, শুল্কহার পূর্বের অবস্থানে ফিরিয়ে না আনলে রমজান মাসে বাজারে ফলের সংকট আরও প্রকট হবে।
ঢাকার বাদামতলী ফল ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশনও সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ফল আমদানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কমিশনার মো. কামরুজ্জামান জানিয়েছেন, ভারত থেকে ফল আমদানি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে এবং শুল্কারোপের ফলে ব্যবসায়ীরা আমদানি বন্ধ রেখেছেন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (NBR) কাছে ব্যবসায়ীরা শুল্ক কমানোর দাবি জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন, তবে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি।
ব্যবসায়ীরা শুল্কহার কমানোর বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে আসন্ন রমজানে ফলের বাজার স্থিতিশীল রাখা যায়।
মন্তব্য করুন