মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র মেয়াদ শেষ হয়েছে। ১৭ জানুয়ারি, ২০২৫ তারিখে, নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের ঠিক তিন দিন আগে তার মেয়াদ শেষ হয়। তার মেয়াদকাল ২০২১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ছিল, যা দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিশেষ করে পাকিস্তানের মধ্যে যথেষ্ট আলোচিত ছিল।
২০২২ সালের এপ্রিল মাসে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করার পেছনে ডোনাল্ড লু’র ভূমিকা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। ইমরান খান অভিযোগ করেন, লু তাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে মার্কিন সরকারের ইচ্ছা বাস্তবায়নে কাজ করেছিলেন। এর ফলস্বরূপ, পাকিস্তানের রাজনীতিতে বিদেশি হস্তক্ষেপের অভিযোগ শীর্ষে উঠে আসে। এ বিতর্ককে “সাইফারগেইট” নামে পরিচিত করা হয়, যা পাকিস্তানের রাজনৈতিক আবহে একটি বিশাল আলোচনা সৃষ্টি করে।
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান লু’র বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন যে, মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার সরকারকে অস্থিতিশীল করার জন্য পিএমএল-এন (পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ) নেতৃত্বের কাছে গোপন চিঠি পাঠিয়েছিলেন। যদিও যুক্তরাষ্ট্র সরকার এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং তা ভিত্তিহীন বলে অভিহিত করেছে।
ডোনাল্ড লু এর আগে নেপাল, শ্রীলংকা, এবং ভারতের সঙ্গে মার্কিন স্বার্থ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মার্কিন সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করার অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন তিনি। তার কর্মজীবনের উল্লেখযোগ্য সময় ছিল ২০১০-২০১৩ সালে ভারতীয় মিশনে ডেপুটি চিফ হিসেবে দায়িত্ব পালন এবং পরে ২০১৫-২০১৯ সালে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহেকে পুনরায় ক্ষমতায় আনার ক্ষেত্রে অবদান রাখা।
লু’র পদত্যাগের দাবির পরও তাকে বরখাস্ত করা হয়নি, এবং তার কর্মজীবন শেষ হওয়ার পর তাকে প্রশংসা ও সমালোচনার মাঝে একটি দীর্ঘ কূটনৈতিক অবদান রয়ে গেছে।
মন্তব্য করুন