অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে সরকার বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে শ্রমজীবী মানুষের সঙ্গে বৈষম্য চলছে। “রাষ্ট্রে এখনও শ্রমজীবী মানুষের সাথে ধনী শ্রেণীর বৈষম্য করছে সরকার,” বলে অভিযোগ করেছেন গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরামের সভাপতি মোশরেফা মিশু।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নীলফামারী প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে নিহত শ্রমিকের পরিবারকে কমপক্ষে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে।
মোশরেফা মিশু বলেন, “এই সরকার ক্ষমতায় আসার পরে চার বার শ্রমিকদের গুলি করে হত্যা করেছে। ৮ আগস্ট অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনের পর ৩০ সেপ্টেম্বর আশুলিয়ার বেঙ্গল টেক্স গার্মেন্টসে মজুরির দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের উপর গুলি চালানো হয়। এতে কাওছার নামে এক শ্রমিক নিহত হন। এরপর ২৩ অক্টোবর আশুলিয়ার আরেকটি কারখানায় একই দাবিতে আন্দোলনের সময় ফের গুলি চালানো হয়। সেখানে চম্পা নামে এক নারী শ্রমিক নিহত হন। সম্প্রতি ২ সেপ্টেম্বর নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে গুলি চালিয়ে হাবিব নামের আরও এক শ্রমিককে হত্যা করা হয়েছে।”
সরকারের উপদেষ্টাদের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ প্রকাশ করে মিশু বলেন, “একেকজন উপদেষ্টা কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। অথচ শ্রমিকদের জন্য ঘোষিত ১২ হাজার ৫০০ টাকা ন্যূনতম মজুরি এখনো কার্যকর হয়নি। গত ২০২৩ সালের নভেম্বরে আন্দোলন ও রক্তপাতের মধ্য দিয়ে এ মজুরি ঘোষণা হয়েছিল। কিন্তু উত্তরা ইপিজেডসহ অনেক কারখানায় তা বাস্তবায়ন হয়নি।”
সংবাদ সম্মেলনে গার্মেন্টস শ্রমিক অধিকার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক তোফাজ্জল হোসেন পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেন। এর মধ্যে নিহত শ্রমিক হাবিবের পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি ছিল অন্যতম।
এ সময় অ্যাড. মাহবুবুর রহমান ইসমাঈল, শ্রমিকনেতা রাজু আহমেদ, সাইফুল ইসলাম, আবু সাঈদসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন