নীলফামারী সদরের ইটাখোলা ইউনিয়নের বিদ্যুৎস্পর্শ হয়ে জামিলা (৪৫) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে। জামিলা ইটাখোলা ইউনিয়নের সিংদই ছাড়ারপাড় বুড়িরডাঙ্গার মমিনুর রহমান ভুট্টুর স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জামিলা সকালবেলা রান্নার জন্য বাঁশপাতা সংগ্রহ করতে সামশুল ফকিরের হাঁস ও মুরগির খামারের পাশে গেলে দুর্ঘটনার শিকার হন। খামারের চারপাশে জিআই তার দিয়ে বেড়া দেওয়া ছিল এবং সেই তারে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া ছিল, যাতে শিয়াল, বেজি, ব্যাঙসহ কোনো প্রাণী ভেতরে প্রবেশ করতে না পারে। ওই তারে বিদ্যুৎস্পর্শ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান জামিলা।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, “খামারের চারপাশে বিদ্যুৎ সংযুক্ত করে রাখা মানে মানুষের জন্য মরণফাঁদ তৈরি করা। কোনো সতর্কতামূলক ব্যানার বা ফেস্টুনও টানানো ছিল না। ইচ্ছাকৃতভাবে এমন ঝুঁকি রেখে দিয়েছে খামার মালিক।”
নিহতের স্বামী মমিনুর রহমান ভুট্টু বলেন, “সকালেই তার সঙ্গে বাড়ির বিষয় নিয়ে কথা হয়েছিল। কখন যে এভাবে তাকে হারাতে হবে, ভাবতে পারিনি।”
জামিলার ছোট ভাইও গভীর দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, “এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার হওয়া জরুরি।”
এলাকার বাসিন্দা বাদশা মিয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “ছোট্ট বাচ্চাও যদি ভুল করে তারে স্পর্শ করত তাহলে কী হতো? এমন বিপজ্জনকভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।”
নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. নিহার রঞ্জন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “বিদ্যুৎস্পর্শ হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া অনুসারে আমরা থানায় বিষয়টি অবহিত করেছি।”
এদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ, ঘটনার পর খামারের মালিক সামশুল বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। সাংবাদিকরা তার বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি।
নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), এমআর সাঈদ জানান, এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি, হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্তব্য করুন