সন্তানদের মুখের দিকে তাকিয়ে বাঁচতে চান ক্যান্সারে আক্রান্ত সিরাজুল ইসলাম (৪৮)। একদিকে শরীরে বহন করছেন মরণব্যাধি ক্যান্সারের যন্ত্রণা, অন্যদিকে ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তায় সন্তানদের নিয়ে দিশেহারা এই অসহায় বাবা। সুস্থ হয়ে আবারও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চেয়েছিলেন তিনি। সেই আশায় ঋণ করেছেন, বিক্রি করেছেন সব জমিজমা। তবুও শেষ পর্যন্ত বিপদ যেন পিছু ছাড়ছে না তার। দীর্ঘ নয় বছর ধরে একের পর এক রোগ বাসা বেঁধেছে সিরাজুল ইসলামের শরীরে।
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার ভিতরবন্দ ইউনিয়নের টাকিমারি গ্রামের বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম। তিনি জেলা কালেক্টরেট অফিসে অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সীমিত বেতনের মধ্যেই কোনোভাবে চলত তার পরিবার স্ত্রী, তিন সন্তান ও বৃদ্ধা মা। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন তিনি। কিন্তু ২০১৬ সালে নেমে আসে ঘোর অন্ধকার।
প্রথমে দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্ট ও শারীরিক জটিলতায় ভুগতে থাকেন সিরাজুল। ২০১৮ সালে বাধ্য হয়ে অস্ত্রোপচার করাতে হয় তাকে। এরপর নানা পরীক্ষানিরীক্ষায় ধরা পড়ে ভয়াবহ লিভার ক্যান্সার। চিকিৎসার খরচ যোগাতে ধীরে ধীরে বিক্রি হয়ে যায় পারিবারিক জমিজমা। ঋণের বোঝা মাথায় নিয়েও চিকিৎসা চালিয়ে যান তিনি। কিন্তু কোনো উন্নতি হয়নি তার শরীরের অবস্থায়। বরং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রোগ আরও জটিল আকার ধারণ করে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সিরাজুল ইসলামের উন্নত চিকিৎসার জন্য জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজন প্রায় ২০ লাখ টাকা। কিন্তু সীমাহীন অর্থকষ্টে জর্জরিত এই পরিবারটির পক্ষে এত টাকা জোগাড় করা একেবারেই অসম্ভব।
অসহায় এই পরিবারের দুর্দশা দেখে স্বজনরাও দিশেহারা। চোখের সামনে একমাত্র ভরসাকে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যেতে দেখে বাকরুদ্ধ তারা। স্থানীয়রাও বেদনা প্রকাশ করে বলেন সমাজের সবাই যদি সামর্থ্য অনুযায়ী এগিয়ে আসে, তাহলে হয়তো আবারও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন সিরাজুল ইসলাম।
স্বজনদের আকুতি কেউ যদি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন, তাহলে হয়তো ক্যান্সারের যন্ত্রণা থেকে মুক্ত হয়ে সুস্থ শরীরে আবারও সংসার চালাতে পারবেন সিরাজুল। সন্তানদের ভবিষ্যতের স্বপ্ন আবারও বাঁচিয়ে রাখতে পারবেন এই বাবা।
যোগাযোগের ঠিকানা:
মোঃ সিরাজুল ইসলাম
মোবাইল: ০১৭২৪-৯১৩৪০৬
মন্তব্য করুন