শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান ও ফ্যাসিবাদ পতনের বর্ষপূর্তি’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, “জুলাই আন্দোলনে শিশু-কিশোররা আবাবিল পাখির ঝাঁকের মতো রাজপথে নেমে এসেছিল। তাদের আত্মত্যাগের মাধ্যমেই আমরা মুক্তি পেয়েছি, গণতন্ত্রও মুক্তি পেয়েছে।” তবে অভ্যুত্থানের পর শিশু-কিশোরদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা নিয়ে সমালোচনা করেন তিনি।
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা অভিযোগ করেন, ধর্মের নামে দেশে নতুন এক ধরনের চেতনার উত্থান ঘটছে। একটি নির্দিষ্ট সংগঠনের লোকজন সর্বত্র প্রভাব বিস্তার করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। পাশাপাশি তার দাবি, শেখ হাসিনার প্রভাব আবারও নতুনভাবে দেশের ওপর ভর করেছে।
“জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন” : সালাহউদ্দিন আহমদ
এদিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে যুবদল আয়োজিত দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
তিনি বলেন, “আমরা সকল গণতান্ত্রিক শক্তির সঙ্গে আলোচনায় রয়েছি। জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়েই একটি সুষ্ঠু, সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের প্রত্যাশা করছি। সারা জাতি সেই গণতন্ত্রের জন্য অপেক্ষা করছে—যার জন্য আমাদের সন্তানরা শহীদ হয়েছেন, রক্ত দিয়েছেন, পঙ্গুত্ববরণ করেছেন।”
সালাহউদ্দিন আরও বলেন, “গণতন্ত্রকে যদি পুনর্নির্মাণ করতে চাই, গণতান্ত্রিক সাম্যের রাষ্ট্র গড়তে চাই তবে জাতীয় ঐক্য বজায় রাখা জরুরি। ফ্যাসিবাদবিরোধী যে ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সেটিকে শক্তিতে পরিণত করতে হবে।”
তিনি নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশকারীদের সমালোচনা করে বলেন, “যারা নানা বক্তব্যের মধ্য দিয়ে নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে, তারা গণতন্ত্রের পক্ষে নয়। বাংলাদেশের মানুষ ভোটাধিকার ও গণতন্ত্রের জন্য ঐক্যবদ্ধ। এই যাত্রাপথে যে কেউ প্রতিবন্ধকতা তৈরি করলে জনগণ তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে।”
সতর্ক করে তিনি বলেন, যদি আবারও বিতর্কিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তবে দেশ অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাবে।
বিএনপির এই নেতা আরও জানান, বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বেগম খালেদা জিয়া গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। তার নির্দেশনা অনুসারেই বিএনপি সংলাপ ও আলোচনার মাধ্যমে গণতন্ত্রের পথে এগোচ্ছে।
মন্তব্য করুন