RCTV Logo আরসিটিভি ডেস্ক
২১ জুলাই ২০২৫, ১১:২৫ পূর্বাহ্ন

গুলি ও গণগ্রেপ্তারের মধ্যে কোটার রায়

গ্রাফিক্সঃ আরসিটিভি

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্বিচার গুলি এবং গণগ্রেপ্তার করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার নিজেকে রক্ষার মরিয়া চেষ্টা করছিল। এর মধ্যেই ২১ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের তৎকালীন পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ রায় দেন, সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের চাকরির সব গ্রেডে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হবে ৯৩ শতাংশ। বাকি ৭ শতাংশ নিয়োগ হবে কোটার ভিত্তিতে। এই নির্দেশনার আলোকে নির্বাহী বিভাগকে অবিলম্বে প্রজ্ঞাপন জারির নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।

তবে ছাত্র-জনতাকে গুলি করে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় আন্দোলন তখন আর কোটা সংস্কারের দাবির মধ্যে ছিল না। দেশে তখন কারফিউর পাশাপাশি মাঠে ছিল সেনাবাহিনীও।

কিন্তু এর আগেই তাদের (বিগত সরকার) হাতে অনেক রক্ত লেগে গিয়েছিল। স্লোগান উঠেছিল ‘তোর কোটা তুই নে, আমার ভাইরে ফিরায়ে দে’।

১৯ জুলাই মধ্যরাতে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার সারা দেশে কারফিউ জারি করেছিল। সেদিন দেশের বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে নিহত হন ১৭৭ জন। পরদিন ২০ জুলাই গুলিতে নিহত হন ৬৫ জন। এ রকম একটি পরিস্থিতিতে কোটা সংস্কার নিয়ে আপিল বিভাগের রায় হলেও ছাত্র-জনতাকে নির্বিচার গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে এবং বিচারের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রাখার কথা জানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

আপিল বিভাগের রায় ঘোষণার দিনও দেশের বিভিন্ন এলাকায় গুলি চালায় আইনশৃঙ্খলা

রক্ষাকারী বাহিনী, এতে বহু মানুষ হতাহত হন। এ ছাড়া সেদিন ভোরে ঢাকার পূর্বাচল এলাকায় গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন রাস্তার পাশে ফেলে যান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক (এখন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক) মো. নাহিদ ইসলামকে। এর আগে ১৯ জুলাই মধ্যরাতে খিলগাঁওয়ের নন্দীপাড়া এলাকার একটি বাসা থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁকে ব্যাপক নির্যাতন করেছিলেন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন।

তবে ছাত্র-জনতাকে গুলি করে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় আন্দোলন তখন আর কোটা সংস্কারের দাবির মধ্যে ছিল না। দেশে তখন কারফিউর পাশাপাশি মাঠে ছিল সেনাবাহিনীও।

২১ জুলাই কোটা সংস্কারের রায় দেওয়ার পর আন্দোলন কীভাবে এগোল—প্রথম আলোকে সেই দিনগুলোর কথা বলতে গিয়ে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য আকরাম হুসাইন। তিনি বলেন, ১৬ জুলাই থেকে ২০ জুলাই দেশজুড়ে গণহত্যা চালিয়েও আন্দোলন দমন করতে পারছিলেন না শেখ হাসিনা। ব্লক রেইড, গণগ্রেপ্তার, সমন্বয়কদের গুম করেও মানুষের প্রতিরোধ থামাতে পারছিলেন না। আনুষ্ঠানিকভাবে তখনো এক দফা ঘোষণা না হলেও শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে তত দিনে শ্রমিকসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ যুক্ত হন। সবাই রাস্তায় নেমে আসেন শেখ হাসিনার পতনের দাবিতে। শেষরক্ষার জন্য ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার ২১ জুলাই আদালতের মাধ্যমে কোটা সংস্কারের রায় ঘোষণা করেছিল। কিন্তু এর আগেই তাদের (বিগত সরকার) হাতে অনেক রক্ত লেগে গিয়েছিল। স্লোগান উঠেছিল ‘তোর কোটা তুই নে, আমার ভাইরে ফিরায়ে দে’।

 

Facebook Comments Box

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিমান বিধ্বস্তের সময় ক্লাস চলছিল

উত্তরায় বিমান বিধ্বস্ত : আহতদের বহনে মেট্রো রেলের বগি রিজার্ভ

বিমান বিধ্বস্ত ঘটনায় ৩ জন নিহত, ৬০ জন বার্ন ইনস্টিটিউটে

বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ বিমানটির পাইলটের খোঁজ মেলেনি

দিয়াবাড়ি এলাকায় ফাইটার বিমান বিধ্বস্ত, হতাহতের শঙ্কা

রাশফোর্ডের বার্সেলোনা অভিযান: কখন হবে অভিষেক?

খুলনায় করোনায় প্রথম মৃত্যু, ২৫ বছর বয়সী যুবকের প্রাণহানি

আবারও বন্ধ মেট্রোরেল

৩১ আগস্ট ঢাকায় আসছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী, বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের সঙ্গে

লিবিয়া থেকে দেশে ফিরতে নিবন্ধন করেছেন দুই হাজারের বেশি বাংলাদেশি অভিবাসী

১০

রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পাচ্ছেন মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা

১১

গুলি ও গণগ্রেপ্তারের মধ্যে কোটার রায়

১২

সন্ধ্যায় বাংলাদেশ-নেপালের অঘোষিত ফাইনাল

১৩

মনোযোগ ছাড়া নামাজ পড়লে কি আল্লাহ কবুল করবেন?

১৪

সন্ধ্যা ৬টায় প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের মুখোমুখি পাকিস্তান

১৫

জুলাই অভ্যুত্থান উপলক্ষে লালমনিরহাটে গ্রাফিতি ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

১৬

বান্দরবানে সারজিস আলমকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা, প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান

১৭

রাসিকের বিল না ছাড়ায় ক্ষোভে ফুঁসছেন ঠিকাদাররা, কাজ বন্ধের হুঁশিয়ারি

১৮

সড়ক সংস্কারের দাবিতে রসিকের প্রতীকী গায়েবানা জানাজা

১৯

হোয়াইটওয়াশের বদলা ও ৯ বছরের আক্ষেপ ঘোচাতে পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ

২০