ইরান নতুন করে ১২০০ কিলোমিটার পাল্লার একটি উন্নত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ‘কাসেম বাসির’ উন্মোচন করেছে। রোববার (৪ মে) রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এই ক্ষেপণাস্ত্রের প্রথম ফুটেজ সম্প্রচারিত হয়। খবর বার্তাসংস্থা এএফপি’র।
টেলিভিশনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, কঠিন জ্বালানি চালিত এই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটি জিপিএস ছাড়াই নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তু নির্ণয় ও আঘাত হানতে সক্ষম। এটি ইরানের সর্বশেষ প্রতিরক্ষা অর্জনের প্রতীক বলে দাবি করা হয়েছে।
রোববার ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজিজ নাসিরজাদে ক্ষেপণাস্ত্র উন্মোচনের সময় বলেন, “যদি আমাদের ওপর যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়া হয়, আমরা শক্ত হাতে জবাব দেব।” তিনি আরও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “আমরা আমাদের প্রতিবেশীদের শত্রু নই, কিন্তু তাদের ভূখণ্ডে থাকা মার্কিন ঘাঁটিগুলো আমাদের বৈধ লক্ষ্য হবে।”
এই নতুন ক্ষেপণাস্ত্র উন্মোচনের সময়টি বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, গত ১২ এপ্রিল থেকে ওমানের মধ্যস্থতায় তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে পরপর তিনটি আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলোচনার মধ্যেই এমন এক প্রতিরক্ষা সক্ষমতা প্রদর্শন করল তেহরান।
এদিকে পশ্চিমা বিশ্ব ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই উদ্বিগ্ন। তাদের অভিযোগ, ইরান মধ্যপ্রাচ্যে হুথি, হিজবুল্লাহ, হামাস ও ইরাকের শিয়া মিলিশিয়াদের সহায়তা দিয়ে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত করছে।
মার্কিন সিনেটর মার্কো রুবিও ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “বিশ্বে একমাত্র যেসব দেশ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করে, তারাই পারমাণবিক অস্ত্র ধারণ করে। ইরানকে এ পথ থেকে সরে আসতে হবে।”
মন্তব্য করুন