যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের মধ্যে সম্প্রতি স্বাক্ষরিত একটি খনিজ সম্পদ বিষয়ক চুক্তি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে রাশিয়ার সঙ্গে সম্ভাব্য আলোচনায় একটি শক্ত অবস্থানে নিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন এক শীর্ষ মার্কিন কর্মকর্তা। খবর: রয়টার্স।
ওয়াশিংটনে স্বাক্ষরিত এই চুক্তির আওতায় ইউক্রেনের নতুন খনিজ প্রকল্পগুলোর ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র অগ্রাধিকারমূলক প্রবেশাধিকার পাবে এবং কিয়েভ পুনর্গঠনে যুক্তরাষ্ট্র বিনিয়োগ করবে। মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে চুক্তিটিকে ‘কৌশলগত অগ্রগতি’ হিসেবে প্রচার করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে রাশিয়ার পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেছেন, এই চুক্তির ফলে ট্রাম্প মূলত “কিয়েভের শাসনব্যবস্থাকে ভেঙে দিয়েছেন”। তার দাবি, এই চুক্তি ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তার বদলে খনিজ সম্পদের মাধ্যমে অর্থ পরিশোধে বাধ্য করবে।
মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট ফক্স বিজনেস নেটওয়ার্ককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “এই চুক্তি রুশ নেতৃত্বকে স্পষ্ট বার্তা দেবে যে ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের মধ্যে এবং তাদের লক্ষ্যগুলোর মধ্যে কোনো বিভেদ নেই।” তিনি আরও বলেন, “এটি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় শক্ত ভিত্তি দেবে।”
চুক্তিটি কার্যকর হতে হলে ইউক্রেনীয় পার্লামেন্টের অনুমোদন প্রয়োজন। ইউক্রেনের প্রথম উপ-প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া সভিরিডেনকো সাংবাদিকদের জানান, “আমরা যত দ্রুত সম্ভব এটি অনুমোদনের পরিকল্পনা করছি, আশা করি আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এটি সম্পন্ন হবে।”
তিনি আরও বলেন, “যৌথ মার্কিন-ইউক্রেন বিনিয়োগ তহবিল চালু করতে কিছু প্রযুক্তিগত বিষয় এখনো চূড়ান্ত করতে হবে।”
মন্তব্য করুন